×

সারাদেশ

এখনো আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি আশাশুনির মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২১, ০৭:৪৬ পিএম

এখনো আম্পানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি আশাশুনির মানুষ

আম্পানের এক বছর পার হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি আশাশুনি উপকূলীয় এলাকার মানুষ

আজ সেই ভয়াল ২০ মে। প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি আশাশুনি উপকূলীয় প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। লবনাক্ততার তীব্রতায় কৃষি কাজ হয়না বিধায় তীব্র অভাবগ্রস্থ অধিকাংশ এলাকার মানুষ। বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনের আতঙ্ক এখনও কাটেনি তাদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে বিচ্ছিন্ন। চিকিৎসা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সংকটে বিপর্যস্থ উপকূলীয় এলাকার এখনও হাজার হাজার মানুষ।

গত ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় আশাশুনি উপকূলীয় এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়ে উপকূলীয় এলাকার ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়ে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের। এখনো ডুবে আছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। আম্পানের এক বছর পার হলেও উপকূলীয় এলাকায় গৃহহীনের সংখ্যা এখনও দুই শতাধিক। বেড়িবাঁধের রাস্তার ওপর খুপড়ী ঘরে বসবাস তাদের।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শুভদ্রকাটি গ্রামের আতাউর রহমান ও কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আবু সালেহসহ উপকূলীয় এলাকা বাসীরা জানান, তাদের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। সুপেয় পানির সংকট তীব্র। বেড়িবাঁধের অবস্থাও নাজুক। উপকূলীয় এলাকার এ সব মানুষ সরকারের কাছে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের দাবি জানান।

তারা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমারা আশাশুনি এলাকার মানুষ এখনও মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারিনি। আমাদের ঘরে খাবার নেই, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ গুলো রয়েছে ভয়াবহ অবস্থায়। দু একটি জায়গায় সংস্কার করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে ভয়াবহ ফাটল। যে কোন সময় প্রবল জোয়ারের চাপে তা আবারও ভেঙে বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস. এম মোস্তফা কামাল জানান, ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল এ অঞ্চলের বেড়িবাধ গুলোর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রানালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে অতিসত্বর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাধ সংস্কারের। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনীসহ জেলার সংশিষ্ট সংস্থা অক্লান্ত পরিশ্রম করাই বেড়িবাধ গুলো প্রাথমিকভাবে সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App