×

জাতীয়

ভয় দেখাতেই সাংবাদিক হেনস্তা: বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২১, ০৬:২৫ পিএম

দুর্নীতির খবর প্রকাশ বন্ধ করতে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের হেনস্তা, হামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক নয়, আমলাতান্ত্রিক সরকার। সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে কেউই লিখতে না পারেন, এ কারনেই সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে। আর ভিন্নমত দমনে প্রধান হাতিয়ার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তো আছেই।

বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি থাকত, তাহলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ হতো না। তাদের নির্ভর করতে হয় আমলাদের ওপর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। যে কারণে অন্যান্য ব্যবস্থা গুলোকেও তারা দলীয়করণ করে ফেলেছে।

বুধবার (১৯ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জেলা, উপজেলা, পৌর ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট চালু করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই তাদের।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারের দুর্নীতির কোনো সীমারেখা নেই। এর মধ্যে সাংবাদিকরা অতি ক্ষুদ্র কিছু অংশ বের করে প্রকাশ করার চেষ্টা করছেন। এই সরকার যা ইচ্ছে তা করবে, কেউ সমালোচনা করতে পারবে না। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও মালিকদের সরকার এই বার্তাই দিতে চায় যে, তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দেশ পরিচালনা করবে। কেউ কিছু বললে রোজিনা ইসলামের মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এই ন্যক্কারজনক গ্রেপ্তার এই সরকারের অসহিষ্ণু চরিত্রের বহিঃপ্রকাশই শুধু করেনি, বরঞ্চ তারা যে এদেশে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করেছে তাও পুনরায় প্রমাণিত করেছে। তিনি বলেন, এই গ্রেপ্তারের পেছনে যে মোটিভটি কাজ করেছে তা সরকার এখন আর কিছুতেই ধামাচাপা দিতে পারবে না।

অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সচিবালয়ের মতো জায়গায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে এতোটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে সামন্য বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন।  তিনি বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের কারনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক বড় বড় দুর্নীতির খবর জনগণ জানতে পেরেছে। এ জন্য তার ওপর সরকারের আক্রোশ রয়েছে।  এগুলো করে সরকার বার্তা দিতে চায়, আইন নয় তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। অফিস সিকিউরিটি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এই দুই আইনের উদ্দেশ্য ভিন্নমতকে দমন করা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি মনে করি, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর এই নির্যাতন স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App