×

চিত্র বিচিত্র

গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আইসোলেশনে যুবক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ০৮:৪৯ এএম

গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আইসোলেশনে যুবক

আইসোলেশন সেন্টারের অভাবে গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আশ্রয়

অব্যাহত করোনার দাপট। উদ্বেগ বাড়িয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে সমগ্র ভারতজুড়ে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন, বেড, ভেন্টিলেটরের আকাল। নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর অসহায় মানুষদের আর্তনাদ।

তবে শুধু ওষুধ বা হাসপাতালে হাসপাতালে বেডের আকাল নয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতজুড়ে সেফহোম বা আইসোলেশন সেন্টার এরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে প্রচুর। যার ফলে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় আইসোলেশন সেন্টারের অভাবে নিরুপায় হয়ে গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আশ্রয় নিতে কার্যত বাধ্য হলেন এক যুবক। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোরের।

যখন সমগ্র ভারতে গণটিকাকরনের কথা বলা হচ্ছে ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রয়াসের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে সারাগ্রামে একটিও সরকারি সেফহোম না থাকায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা মাথায় রেখে কখনও বা শৌচালয়ে, খোলা মাঠে আবার কখনও গাছের ডালে অস্থায়ী মাচা করেই রাত কাটাতে হচ্ছে বহু করোনা সংক্রমিত রোগীদের।

বছর ১৮ এর শিবার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম। বাড়িতে আলাদা ঘরের অভাব, গ্রামে আইসোলেশন সেন্টারের অভাব। যারফলে বাধ্য হয়ে সংক্রমণের ভয় এড়াতে বাড়ির একপাশে থাকা গাছের ডালই এখন অস্থায়ী ঠিকানা শিবার।

তবে এই অবস্থা শিবার একার নয়, তেলেঙ্গানার নলগোন্ডা জেলার কোঠানন্দিকোন্ডা গ্রামের সবারই একই দশা। গ্রামে কোনও সেফহোম না থাকায় বাড়ির কেউ করোনা আক্রান্ত হলে গাছের ডাল, বাথরুম বা খোলা মাঠই তাদের কাছে অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার।

শুধু তাই নয়, করোনা মোকাবিলায় শহুরে লোকেরা যে সমস্ত পরিষেবা পান সেগুলি সবই ধরা ছোঁয়ার বাইরে কোঠানন্দিকোন্ডা গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ, শুধু করোনা পরিস্থিতি নয় যেকোনও দরকারে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হলে যেতে হবে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এছাড়াও অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হলে যেতে হবে ৩০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে।

এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে শিবা জানিয়েছেন যে, গ্রামে এতদিন পর্যন্ত কোনও কোভিড কেয়ার সেন্টার ছিল না। দুদিন আগে তারা সবাই মিলে গ্রামেরই একটি হোস্টেলকে আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করেছেন।

শুধু তাই নয়, আশেপাশের অন্য গ্রামগুলিতেও করোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও আইসোলেশন সেন্টার আছে কি না তা অবশ্য জানা নেই শিবার। এদিকে শিবা আরও জানিয়েছেন, করোনা সম্পর্কে গ্রামের অনেকেই এখনও অসচেতন। এমনকি তাদের কোনও ধারণা নেই যে দেশের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে। যার ফলে গত ৪ মে শিবা করোনায় আক্রান্ত হলেও গ্রামেরই কেউই তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। ফলে বাড়িতে জায়গার অভাব থাকায় নিজেকে সকলের থেকে বিছিন্ন রাখতে গাছের মাচায় এখন অস্থায়ী ঠিকানা তার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App