×

সম্পাদকীয়

সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং অভিনন্দিত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২১, ১২:০৩ এএম

আজ ১৭ মে। ১৯৮১ সালের এই দিনে নেতৃত্বহীন বাঙালি জাতিকে আলোর পথ দেখাতে বাংলার মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার পর স্বামী-সন্তানসহ ছয় বছর বিভিন্ন দেশে কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরতে সক্ষম হন তার বড় কন্যা শেখ হাসিনা। বিদেশ থাকাকালেই ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগ নেতারা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর নেতারা তার হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগের পতাকা। এরপর থেকে শেখ হাসিনা দলীয় কাউন্সিলে বারবার নির্বাচিত হয়ে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হলো জনগণের সরকার। ক্ষমতায় এসে তিনি জনগণের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শিক্ষার মান উন্নয়ন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদান, কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ, বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি জাতির জনকের হত্যাকারীদের রক্ষাকবচ কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে হত্যাকারীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করলেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও চালিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে উৎখাত বা হত্যা করার নানা ধরনের চেষ্টা দেশি-বিদেশি মহল এখনো তৎপর। দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে তাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বারবার বেঁচে গেছেন। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনের দিকে হাঁটছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১সহ বহুমাত্রিক উন্নয়ন কৌশল হাতে নিয়ে চতুর্থ মেয়াদে সফলতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। স্বপ্নের সেই দেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত সাম্য ও ন্যায়ের সমৃদ্ধ এক দেশ, যেখানে উন্নয়নের অংশীদার হবেন সবাই। শিগগিরই মহামারি অতিক্রম করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে- এটাও নিশ্চিত। শেখ হাসিনাই বর্তমান বাংলাদেশের পরিপক্ব নেতা ও দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক। সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সমগ্র জাতির কাছেই আজ তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং অভিনন্দিত। বাংলার মানুষও মনে করে, শেখ হাসিনা দেশের গর্ব। তার মনুষ্যত্ববোধ ও লোকহিতব্রতী কর্ম রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি পিতার যে গুণগুলোকে উত্তরাধিকার হিসেবে অর্জন করেছেন তার অন্যতম হচ্ছে আবেগ, দেশপ্রেম, স্বাজাত্যবোধ, সাহস, সততা এবং মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। বাঙালির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যে আত্মার সম্পর্ক, আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে শেখ হাসিনার সঙ্গেও বাঙালি একই সম্পর্ক অনুভব করে। প্রত্যাশা রাখছি- তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সত্য ও সুন্দর, ন্যায় ও মনুষ্যত্বের। ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন আমাদের উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App