×

সারাদেশ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেটের পর্যটন এলাকায় মানুষের ঢল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২১, ০৬:২৯ পিএম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেটের পর্যটন এলাকায় মানুষের ঢল

ছবি: ভোরের কাগজ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেটের পর্যটন এলাকায় মানুষের ঢল

ছবি: ভোরের কাগজ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঈদের দিন থেকেই সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। দর্শনার্থীদের মাঝে নেই তেমন করোনা সচেতনতা। সেখানে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব, অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক।

যদিও নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। পাশাপাশি পর্যটকদের যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ঈদের ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক। সিলেটের বিভিন্ন চা বাগান, কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ও জাফলং, জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখালে গিয়ে দেখা গেছে পর্যটকদের ভিড়। বেশির ভাগ পর্যটকদের মুখেই নেই মাস্ক। সামাজিক দূরত্বেরও বালাই নেই।

নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পর্যটক সমাগম অনেকটা কম। তবু অনেকেই এসব স্থানে বেড়াতে এসেছেন। পরিবার নিয়েও এসেছেন কেউ কেউ। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সিলেট নগরী থেকে পরিবার নিয়ে বিছনাকান্দিতে বেড়াতে এসেছেন সোলেমান আহমদ। তিনি বলেন, আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেড়াতে এসেছি। তবে এখানে এত ভিড় হবে বুঝিনি।

আমাদের কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি সোহেল রানার জানান, প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার কোম্পানিগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঈদের দিন থেকেই ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক। তবে শনিবার পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে গেছে বলে তিনি জানান।

[caption id="attachment_284235" align="aligncenter" width="598"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, পর্যটক যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ নজরদারি রেখেছি। এজন্য স্থানীয় লোকজন ছাড়া বাইরের মানুষজনের যাতায়াত নেই।

আমাদের গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম জানান, সবুজ পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝর্ণার পানিতে চিকচিক করছে অসংখ্য পাথর। নৈসর্গিক এ দৃশ্য দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও গোয়াইনঘাটের জাফলং ও বিছনাকান্দিতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। করোনা পরিস্থিতির বিধিনিষেধের জন্য অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পর্যটক সমাগম অনেকটা কম বলে তিনি জানান।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনসমাগম এড়াতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। ওই নির্দেশনার কারণে গত কয়েক মাস থেকে পুরোপুরি পর্যটকশূন্য ছিল জাফলং ও বিছনাকান্দি এলাকা। এবারের ঈদেও আমরা পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে নিরুৎসাহিত করছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে জড়ো হওয়া পর্যটকদের সকলেই সিলেটের বাসিন্দা। বাইরের জেলা থেকে এবার কেউ আসেননি। করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে। সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, সাদাপাথর, রাতারগুল, লালাখাল পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। এখানকার চা বাগান দেখতেও আসেন অনেক পর্যটক। সারাবছরই সিলেটে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে ঈদ মৌসুমে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত এপ্রিল থেকে প্রায় পর্যটকশূন্য অবস্থায় রয়েছে সিলেট। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে পর্যটনখাতের উদ্যোক্তাদের। এই ঈদেও বাইরের পর্যটকরা আসেননি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App