×

জাতীয়

ঈদের পরের দিনেও ফেরিঘাটে ঘুরমুখো মানুষের ঠাসাঠাসি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২১, ১১:৩১ এএম

ঈদের পরের দিনেও ফেরিঘাটে ঘুরমুখো মানুষের ঠাসাঠাসি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীদের ভিড়

ঈদের পরের দিনেও ফেরিঘাটে ঘুরমুখো মানুষের ঠাসাঠাসি

লকডাউন ও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন, যাত্রীবাহী লঞ্চ এবং রেল বন্ধ থাকায় ঈদের আগে বাড়ি ফেরার নিয়ে গত একসপ্তাহ ধরে ঘাটে নানা ঘটনা ঘটে চলেছে।

ঈদুল ফিতরের পরদিনও বিভিন্ন রুটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। শনিবার (১৫ মে) ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঘাটে শুরু হয় জনস্রোত; যা অব্যাহত রয়েছে। যাত্রীদের ঠাসাঠাসি করে ফেরিতে উঠতে এবং হুড়োহুড়ি করে ফেরি থেকে নামতে দেখা গেছে। তবে প্রশাসনের তেমন কোনও তাৎপরতা দেখা যায়নি বাংলাবাজার ফেরিঘাটে। পরিবহন সংকট থাকলেও নানা উপায়ে হাজারো মানুষের জনস্রোত অব্যাহত আছে।

ঈদের ছুটির শুরুতেই গত বুধবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে যাওয়ার সময় ফেরিতে প্রচণ্ড ভিড়ে মারা গেছেন ছয় জন। তাদের সবার গন্তব্য ছিল দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর দিকে। তার আগে ফেরিতে উঠার সময় পানিতে পড়ে যায় দুটি মাইক্রো বাস। কয়েক দিনে আহত হয় শতাধিক মানুষ। হয়রানি তো আছেই।

শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, দুই নম্বর ফেরিঘাটে 'শাহ মখদুম' ফেরি নোঙর করা। এর ঘণ্টা দেড়েক আগেই পন্টুন দখলে নিয়েছে শত শত মানুষ। গাড়ি ওঠাতে ফেরির গেট খুলে দিতেই শুরু হুড়োহুড়ি। মুহূর্তেই সাধারণ যাত্রীদের দখলে চলে যায় পুরো ফেরি। এরমধ্যে এই বড় ফেরিতে ঠেলেঠুলে জায়গা করে নিতে পেরেছে ১০-১২ টি ব্যক্তিগত গাড়ি। টিকিট কেটে ফেরিতে ওঠা যাত্রীরা ততক্ষণে সকালের রৌদ্রের তাপে হাঁসফাঁস শুরু করে দিয়েছেন। এই যাত্রীদলে নারী, শিশু, বৃদ্ধ থেকে সবাই রয়েছেন। তবে তাদের প্রায় কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। কেউ হাতে রেখেছেন তা, কারো থুতনির নিচে। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি চিন্তাও করতে পারছিলেন না সাধারণ যাত্রীরা।

এদিকে লকডাউনে যানবাহন বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যেতে যেতে বাস চলাচল করতেও দেখা গেছে। ওই রুটে নিয়মিত চলাচলকারী ইলিশ পরিবহনের বাস ছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটের আজমেরী গ্লোরি থেকে শুরু করে নানা পরিবহনের বাসই চলতে দেখা যায়। এর বাইরে লেগুনা, টেম্পুসহ নানা বাহনে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App