×

খেলা

পাহাড়ের উপর দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২১, ০৩:০৬ পিএম

পাহাড়ের উপর দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম

পাহাড়ের ওপর দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম

বিশ্বে রয়েছে নানা আকৃতির স্টেডিয়াম। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশগুলো এখন বলতে গেলে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কে কার চেয়ে সুন্দর ও বড় স্টেডিয়াম তৈরি করতে পারে। আর এই প্রতিযোগিতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব স্টেডিয়াম।

তবে কংক্রিটের তৈরি এসব দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম ছাড়াও রয়েছে দেখার মতো স্টেডিয়াম। যেগুলোতে নেই লোহা বা কংক্রিটের ব্যবহার। আর এমন স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যেই একটি হলো সুইজারল্যান্ডের ওটমার হিজফেল্ড স্টেডিয়াম। এটি সুইজারল্যান্ডের অপেশাদার ফুটবল ক্লাব এফ সি গেসপনের মাঠ। এ ফুটবল মাঠটি দুটি কারণে অন্য স্টেডিয়ামগুলোর চেয়ে আলাদা। প্রথমটি হলো এটি একটি পাহাড়ের কোলে তৈরি।

পাহাড়ের পাশের মাটি কেটে তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি। আর দ্বিতীয় কারণে এটি অন্য স্টেডিয়ামগুলোর চেয়ে আলাদা, সেটি হলো এটি ইউরোপের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত কোনো স্টেডিয়াম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এটি প্রায় দুই হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটি ২০০৯ সালে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছিল। তাই স্বাভাবিক ফুটবল মাঠের তুলনায় এটি আকারে একটু ছোট।

এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে জার্মানির সাবেক খেলোয়াড় ওটমার হিজফেল্ডের নামে। তিনি বেশ পরিচিত কোচ হিসেবে। বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মতো ক্লাবগুলোর কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আর তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সুইজারল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু স্টেডিয়াম তার নামে করা হয়েছে।

এদিকে এই স্টেডিয়ামটি যেহেতু পাহাড়ের কোলঘেঁষে তৈরি হয়েছে। ফলে স্টেডিয়ামটির এক পাশে হলো পাহাড়। অন্য পাশে হলো গভীর খাদ। আর খাদে যেন খেলোয়াড় ও বল পড়ে না যায়, তাই পাশে জাল দিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে যারা এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে অভ্যস্ত না, তাদের জন্য এখানে ফুটবল খেলা ভয়ানকই মনে হবে। এই স্টেডিয়ামটিতে প্রায় একশর বেশি মানুষ বসে খেলা দেখতে পারে। স্টেডিয়ামটির যে পাশে পাহাড়, সেই পাশটি সমান করে কেটে বসার জায়গা করে দেয়া হয়েছে।

এফ সি গেসপন নামের যে ক্লাবটি এই স্টেডিয়ামকে হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করে, সেই ক্লাবের ডিফেন্ডার বা রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হলেন দিয়েগো অ্যাবগোটস্পন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এ ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। একবার এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন এখানে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন।

নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে দিয়েগো অ্যাবগোটস্পন বলেন, ‘এখানে খেলার সময় আপনি পাহাড় দেখতে পাবেন, বরফ দেখতে পাবেন। যেহেতু এটি অনেক উঁচুতে অবস্থিত ফলে এখানে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। কিন্তু আমাদের এখানে খেলতে খেলতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এখানে অন্য দলগুলোর জন্য খেলা অনেক কঠিন। এমনকি আমরা যদি কখনো ৫-০ গোলেও পিছিয়ে যাই তবুও আমাদের বিশ্বাস আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App