×

জাতীয়

নগরবাসীর ঈদ কাটবে ঘরেই, বন্ধ থাকবে পার্ক পর্যটনকেন্দ্র

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মে ২০২১, ০৪:১৫ পিএম

নগরবাসীর ঈদ কাটবে ঘরেই, বন্ধ থাকবে পার্ক পর্যটনকেন্দ্র

বন্ধ থাকবে পার্ক পর্যটনকেন্দ্র

নগরবাসীর ঈদ কাটবে ঘরেই, বন্ধ থাকবে পার্ক পর্যটনকেন্দ্র

ঢাকা চিড়িয়াখানায় দর্শক। ফাইল ছবি

ঈদের ছুটিতে একরাশ আনন্দ নিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সেজে-গুজে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার অপেক্ষাটা থাকে সবারই। কিন্তু নগরবাসীর এমন অপেক্ষার অবসান হচ্ছে না এবারও। কারন, গত বছরের মতো নগরের প্রধান বিনোদন পার্কগুলো-চিড়িয়াখানা শিশু পার্ক, রমনাপার্ক, নন্দন পার্ক, ফ্যান্টাসি কিন্ডম, বোটানিক্যাল গার্ডেন সহ সব পার্ক ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোর দরজায় এবারো থাকবে তালা। তাইতো বাড়ির ছাদ, বারান্দা কিংবা আঙ্গিনাতেই ঈদ যাপন করতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

ঈদে করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারী নির্দেশে রাজধানীর সব বিনোদনকেন্দ্র গুলো বন্ধ রয়েছে গত ১ এপ্রিল থেকে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঈদের পরে এসব কেন্দ্র গুলো খুলে দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে ঈদে সারাদেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে কেন্দ্রগুলো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকায় খাঁচায় বন্দি প্রাণীগুলো নিজেদের মতো করে বেড়ে উঠছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মে র মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর ৪২টি বাচ্চার জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে জলহস্তির একটি, জেব্রার দুটি, আফ্রিকার হাতির দুটি বাচ্চা রয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইমু পাখি, ময়ূরসহ বিভিন্ন ধরনের বকের নতুন ডিমের মাধ্যমে বাচ্চা ফোটানো হয়েছে।

এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণী নতুন করে প্রজনন ঘটিয়েছে। বিভিন্ন প্রাণীর আশ্রয়স্থল সংস্কার করা হয়েছে। সীমানাজুড়ে দর্শনার্থীদের চলাচল উপযোগী রাস্তা নির্মাণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। তবে বর্তমান মহামারি পরিস্থিতির কারণে এবার ঈদুল ফিতরেও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

চিড়িয়াখানার পুরো সীমানাজুড়ে দর্শনার্থীদের জন্য উপযোগী রাস্তা নির্মাণ ও পশুপাখি রাখার ভাঙা সেড সংস্কার করা হচ্ছে। ভেতরে যেন এক রকম বন্য পরিবেশে প্রাণীকূল বেড়ে উঠছে। স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করছে। বড় প্রাণীগুলোকেও সুখের গর্জন করতে শোনা যায়।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. আব্দুল লতীফ ভোরের কাগজকে বলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানাকে আরও আকর্ষণীয় ও বিনোদনমুখর করে তুলতে বিদেশ থেকে নতুন নতুন প্রাণী আনা হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রাণীর প্রজনন ঘটানের চেষ্টা চলছে। ঈদে বন্ধ থাকায় কাজগুলো করতে সুবিধা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ঈদেও সারাদেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এতে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে দেশের পর্যটন খাত। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের পর্যটনশিল্পে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাকরিচ্যুত হয়েছেন বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী।এরপরও পর্যটনশিল্প ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের প্রণোদনা ও ঋণ পাননি। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতিতে এ খাতের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি।

পার্ক পরিচালনাকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারী রোধে স্থানীয় প্রশাসনের ঘোষণা অনুসার ঢাকার প্রধান বিনোদন কেন্দ্রগুলো ১ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে। তারা বলেন, ঈদের সময়ই তাদের আয়ের মূল সময়। গত বছর তা হয়নি। দুই বছর বৈশাখেও ছিল বন্ধ।  ফলে তারা বড়র ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন। তারা বলছেন, যেহেতু এবার ঈদে ছুটি মাত্র তিন দিন, তাই অনেকেই বাড়ি না গিয়ে শহরে থাকবেন। সরকারের কাছে আবেদন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদে যেন বিনোদন কেন্দ্রগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকতে পারবে, আর কর্মচারীদের কর্মসংস্থানে ব্যঘাত ঘটবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App