করোনা মহামারির জন্য স্থগিত হওয়া সংসদীয় আসনসহ ইউপি  নির্বাচনের বিষয়ে আগামী ১৯ মে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে করোনা মহামারি থাকলেও সংবিধান রক্ষার্থে দ্বৈব দূর্বিপাক জনিত সময় ধরে আসন শূণ্য হবার পরে মোট ১৮০ দিনের মধ্যে আমরা সংসদীয় নির্বাচন করতে বাধ্য বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মঙ্গলবার (১১ মে) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসি সচিবালয় বৈঠক শেষে  ভোরের কাগজকে তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি মুঠো ফোনে বলেছেন, ইতিমধ্যে লক্ষ্মীপুর-২ ও সিলেট-৩ আসন ৯০ দিন পার হয়েছে, এ নিয়ে ইসি পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার জন্য গেজেট পেশ করেছে। অরো দটি সংসদীয় আসন শূণ্য হয়েছে, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫। এগুলোর যদিও এখনো ৯০ দিন পার হয়নি , তবে আগামী ১৯ মে কমিশন বৈঠকে এসব নির্বাচন একত্রে হবে নাকি ধাপে ধাপে হবে তা নিয়ে কমিশন সভা সিদ্ধান্ত দেবেন। এছাড়া যে ৩৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বা দ্বিতীয় ধাপে যেসব ইউপি নির্বাচন করতে হবে সব বিষয়ে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ১৯ মের বৈঠকে এসব ছাড়াও মোট ৫টি এজেন্ডা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ভোরের কাগজকে জানান,  সব নির্বাচন আমাদেরকে কন্টিনিউ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন ১৮০ দিনে মধ্যে ভোট করতে ইসি বাধ্য। লক্ষ্মীপুর-২ ও সিলেট-৩ আসনে ৯০ দিন পার হয়েছে, এবার সিইসির ক্ষমতায় পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। আমরা চাচ্ছি কমিশন একমত হলে এসব নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলব। তিনি বলেন, ১৯ মে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কমিশন যা মত দেন সে অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো আমরা। জানা যায়, ইসি সচিবালয় বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে চার নির্বাচন কমিশনারের কেউ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে কমিশনের বর্তমান কার্যক্রমের হালনাগাদ কার্যক্রমের খোঁজ নেয়া হয়। এ ছাড়া যেসব নির্বাচন স্থগিত আছে, যেগুলোর মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেগুলোর সম্পর্কে অবহিত করা হয়। আসন্ন কমিশন সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্থগিতকৃত নির্বাচন, ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিতকৃত নির্বাচন, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের অন্যান্য নির্বাচন, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনের তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিবিধ।