রাজধানীর পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক ও রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১০ মে) ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে, দুই আসামির বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুই মামলায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর জখম, চুরি মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তার আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন মাওলানা মামুনুল হক। ওই সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা মনে করছে পুলিশ।

অন্যদিকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা থেকে আটক করে র‍্যাব। পরদিন ৮ এপ্রিল র‍্যাব বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১৩ এপ্রিল গাছা থানা পুলিশ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে ১৫ এপ্রিল আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গত বুধবার তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।