শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এই সময় বিশ্বের বড় বড় দেশেগুলোর সাথে শিল্প উৎপাদনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে আরো আধুনিক শিল্প পার্ক স্থাপনের কোনো বিকল্প নাই। বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব বলেই, বিগত বারো বছরে ধরে দেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য কাজ করছে, আর সে কারণেই আজ দেশে নতুন নতুন শিল্প পার্ক স্থাপিত হচ্ছে। এই শিল্প পার্ক স্থাপনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত আয়ের শিল্প সমৃদ্ধ দেশের পাশাপাশি ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

শনিবার (৮ মে) এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়ালি) প্রধান অতিথি বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এর উপর একটি উপস্থাপনা করেন ইপিজেএল এর ব্যবস্থপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হুমায়ুন রশিদ।

তিনি বলেন, সকলে ঐকান্ত প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশের শিল্পোয়ান ও উৎপাদনে এই জায়গায় পৌঁছাছে। প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব করোনা মহামারি এই সময়ও বিশ্বের বড় বড় দেশ যেখানে হিমসিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের জীবন ও জীবিকা উভয় সচলের, পাশাপাশি শিল্প কারখানাও চালু রয়েছে। দেশের মানুষ একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েনি।

গাজীপুরের শ্রীপুরে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড (ইপিজেএল) এর অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইপিজেএল এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ রবিউল আলম এবং পরিচালক এনামুল হক চৌধুরী। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইপিজএল এর পরিচালক নুরুল আক্তার, পরিচালক রেজওয়ানুল কবির, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন, এবং স্বতন্ত্র পরিচালক মিকাইল শিপার।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ গতবছর জিডিপি ৫.২৪ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। জাতীয় অর্থনীতি সচল রাখতে লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে, যাতে করে মানুষ কর্মহীন না হয়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের মতো প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। এই এনার্জিপ্যাক শিল্প পার্কটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি ও সিউও হুমায়ুন রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং অর্থনীতির বিকাশ সাধন করবে। এ পার্কের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের পাশাপাশি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ব্যাপক অবদান রাখবে।