×

জাতীয়

১০ মে‘র আগে বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি জি-স্কপের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২১, ০৫:০৭ পিএম

১০ মে‘র আগে পোষাক শ্রমিকদের এক মাসের মূল মজুরির সমান ঈদ বোনাসসহ এপ্রিল মাসের মজুরি পরিশোধ এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হলে কমপক্ষে ৭ দিনের বিকল্প ছুটি দেবার ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ)। জি স্কপের যুগ্ম সমন্বকারী আব্দুল ওয়াহেদ এবং কামরুল আহসান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মাত্র ৪-৫ দিন পরেই ঈদ, এখনো ৩০ শতাংশের বেশি কারখানায় শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করা হয়নি, ৭৫ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি, বেশকিছু কারখানার মালিক ঈদের আগে আদৌ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে কিনা সেবিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ করোন সংক্রমণের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন সচল রেখেছে। শুধু গত মাসেই ৩.১৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানী হয়েছে। এই রপ্তানির জন্য যাদের কৃত্বিত্ব সেই শ্রমিকদের ২৪ রোজা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও বেতন বোনাস না দেওয়াটা অমানবিক ।

সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে শ্রমিকদের জিম্মি হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্ঠা করলে তা সহ্য করা হবেনা বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে তারা বলেন, করোনা সংক্রমনের মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলারের তৈরী পোষাক রপ্তানী হয়েছে, জুলাই ২০২০ থেকে জানুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত ৭ মাসে ১৮৪০ কোটি ডলারের তৈরী পোষাক পণ্য রপ্তানী হয়েছে। নিয়মিত রপ্তানী করার পরও গার্মেন্টস মালিকরা শুধুমাত্র শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রায় বিনা সুদে ঋণ নিয়েছেন, প্রণোদনা হিসাবে নামমাত্র সুদে হাজার-হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, ঋণের কোন টাকা পরিশোধ করেননি। এরপরও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য সরকারের কাছ থেকে পুণরায় ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছেন। নেতারা বলেন, রাষ্ট্রের সকল ধরণের সুবিধা নিয়ে ৪০ বছর ব্যবসা পরিচালনার পর কোন শিল্পের, শ্রমিকদের এক-দুই মাসের বেতন-ভাতার দায় বহন করার সক্ষমতা থাকবেনা- এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

জি স্কপের নেতারা বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার অতিরিক্ত ছুটি বাতিল করেছে। শিল্প শ্রমিকরা কোনরকম ছুটি ছাড়া সারাবছর কঠোর পরিশ্রম করে, গ্রামে যাওয়া বা পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পর্যাপ্ত সুযোগ থাকে না। শুধুমাত্র বছরের দুটি ঈদে নির্ধারিত সরকারী ছুটির সাথে অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে। আর এই অতিরিক্ত ছুটি পাওয়ার জন্য ঈদের আগে প্রায় দেড়-দুই মাস ধরে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেনারেল ডিউটি করে। এ বছরেও শ্রমিকরা ঈদের সময় অতিরিক্ত ছুটি পাওয়ার জন্য কারখানা ভেদে এপ্রিলের শুরু থেকেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ওভারটাইম ছাড়াই কাজ করে আসছে। এই অবস্থায় লকডাউন ও ছুটি বাতিলের উদ্দেশ্য কার্যকর করতে হলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হলে শ্রমিকরা পরিবার-পরিজনের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য ৭ দিনের বিকল্প ছুটির ঘোষণারও দাবি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App