প্রথম থেকে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত ৩০ মার্চ জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। এনটিআরসিএ,র চেয়ার‌ম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ। অন্যদিকে এনটিআরসিএ,র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফারুক হোসেন।

আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ ফরহাদ বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনে ১ম থেকে ১২ তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সদনধারীদের মধ্যে রিটকারি প্রায় দেড় হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ প্রকাশিত গণ বিজ্ঞপ্তি সাত দিনের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। এর আগে গত ৭ মার্চ এক আদেশে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। দীর্ঘ দিনেও এ আদেশ বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফের আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এই সময়ে আদালত অবমাননার বিষয় নিস্পত্তি না করে তারা কোন শিক্ষক নিয়োগে কোন বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়। নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শতাধিক প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের এ বেঞ্চ আদালত। নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শতাধিক প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের এ বেঞ্চ আদেশ দিয়েছিল।

২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিলো। তার মধ্যে একটি ছিলো সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে। কিন্ত ২ বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ হাজার প্রার্থীর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করে রিটকারীরা।