অন্য কোনো রাজনীতি নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এখন জনগণের পাশে থাকাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এমন কথা বলেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) মিরপুরে মাজার রোডের টালি কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দারুস সালাম থানার আয়োজনে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মহামারিতে জনগণের পাশে থাকা এবং জনগণকে সহায়তা করাই এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং দেশব্যাপী দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতি শুধু তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়েই আবর্তিত। প্রধানমন্ত্রী বিধান প্রদত্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েছেন। সুবিধা অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি নেতাদের কথাবার্তায় মনে হয়, দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নাই, মাথাব্যথা শুধু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে। একটি রাজনৈতিক দলের রাজনীতি যদি শুধু তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়েই আবর্তিত হয়, তাহলে সেটি জনগণের রাজনৈতিক দল নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বুধবার অনলাইনে উঁকি দিয়ে টিভির পর্দায় যেভাবে করোনা নিয়ে কথা বললেন, তাতে মনে হলো, তিনি করোনা বিশেষজ্ঞ। তিনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন জানতাম। কিন্তু তিনি মনে হচ্ছে ১৪ মাসের মধ্যে এফআরসিএস পাশ করে ফেলেছেন, করোনা মহামারিতে বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন, সেটি আমরা বুঝতে পারিনি। তিনি বলেছেন, সরকার নাকি বাংলাদেশে করোনার শুরুতে বুঝতে পারেনি! অথচ, বাংলাদেশে করোনা মহামারির শুরু থেকে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে মহামারির গত ১৪ মাসে কেউ অনাহারে মারা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষ ও করোনাপীড়িত গতবছরে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের মাত্র ২০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানের অধিকারী। তবুও দুর্মুখদের মুখ থেমে নেই। তারা জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা টিভির পর্দায় আর অনলাইনে উঁকি দিয়ে প্রতিদিন সরকারের সমালোচনাই করছে।