×

জাতীয়

স্বাধীনতার পরে ভারতীয় মালামাল এনে রেকর্ড গড়ল রেলওয়ে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ০১:৪৬ পিএম

স্বাধীনতার পরে ভারতীয় মালামাল এনে রেকর্ড গড়ল রেলওয়ে

ফাইল ছবি

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে ভারত থেকে ট্রেনে করে নানা ধরনের মালামাল এনে আয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল। শুধুমাত্র গত এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ১৬২ রেল মালামাল এনে ১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। বুধবার (৫ মে) ভোরের কাগজের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ আয় স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। এর আগে স্বাধীনতার পরে ২০১৭ সালে ৯৭টা রেকর্ড ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু গত এপ্রিলে সে রেকর্ড ভেঙে ১৬২তে পৌছেছে এবং আয় প্রায়ও প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। তিনি জানান, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চারটি আন্তর্জাতিক রেল করিডোর দিয়ে গুডস ট্রেন আসছে। এগুলো হলো দর্শনা, রোহনপুর, বেনাপালে ও বিরল। প্রতিদিন প্রচর মালামাল আসছে। এখান থেকে গম, ভুট্টা, পশুখাদ্য, পাথর, পদ্মা রেল প্রকল্পের ও যমুনা সেতুর জন্য মালামাল-স্লিপার, ক্লিবসহ বিভিন্ন মালামাল আসছে। তাছাড়া বেনাপোল দিয়ে ট্রাক্টর বা ওই জাতীয় গাড়ি আনছেন বাংলাদেশি আমদানীকারকরা।

তিনি বলেন, নেপাল, ভুটান, ভারত,বাংলাদেশ এ চারটে দেশের সঙ্গে রেল করিডোর নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে সেকারণে বিরল ও রোহনপুর দিয়ে প্রেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট প্রচুর আসছে, এছাড়া পেয়াজ এসেছে প্রচুর, মেইজ, আদা, রসুন, শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন জিনিস আসছে। আমদানীকারকরা একেবারে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সরাসরি কন্টেইনার বা রেক নিয়ে আসেন।

মিহিরি কান্তি জানান, সাধারণত অন্য সময় মাসে গড়ে ১০ কোটি টাকার মত আয় হয়, কিন্তু এবারে আমাদের আমদানীকারকরা লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মালামাল গুডস ট্রেনে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনছেন। শুধুমাত্র গত এপ্রিল মাসেই সেটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমরা ওই মাসে ১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মত আয় করতে সমর্থ হয়েছি।

তিনি বলেন, সাধারণত মালামালবাহী গুডস ট্রেনগুলো ভারতীয় রেকে চলে। তবে বাংলাদেশ অংশে যখন প্রবেশ করে তখন দূরত্ব অনুযায়ী আমরা ভাড়া পাই। তবে এগুলো দ্রুত খালি করতে হয়। দশ দিনের উর্দ্ধে গুডস রেক বসিয়ে রাখলে ওই আমদানীকারকের অতিরিক্ত খরচ দিতে হয়। সেজন্য এদেশে আসা মাত্র তা আমরা কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দ্রুত খালাস করার চেষ্টা করি এবং এতে আমদানীকারকদের সুবিধা ও লাভ বেশি হয়, সেজন্য তারা এখন লকডাউনে সড়ক পথ বন্ধ থাকায় রেলওয়েকে বেশি ব্যবহার করছে।

পশ্চিমাঞ্চলের মহাপরিচালক আরো জানান, আসলে আমাদের প্যাসেঞ্জার ট্রেনে লোকসান হয়, একটি ট্রেন চালাতে, মেনটেনডেন্স করতে যে খরচ তার ৫৫-৬০ শতাংশ আয় হয়, বাকি ৪০-৪৫ শতাংশ লোকসান গুনতে হয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কোন মাসে যদি যাত্রীবাহি ট্রেন থেকে ৮০০ কোটি টাকা আয় হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ওই বাবদ খরচ হয় ১৫০০ কোটির মত। সুতরাং মালামাল পরিবহন থেকেই রেলওয়ের লাভ করতে হবে। গুডস ট্রেন বেশি করে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে দেশের চাষিদের বা ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য মোট ৮টি ট্রেন চালু রেখেছে, এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে ২টি গুডস বা পার্সেল ট্রেন চলছে। একটি খুলনা থেকে চিল্লাহাটি, আর অপরটি পঞ্চগড় টু ঢাকা। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবর্ষ উপলক্ষে পশ্চিমাঞ্চলের ২৬টি ট্রেন স্টেশন আপগ্রেডেড করার কাজ চলছে বলেও জানান মিহির কান্তি গুহ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App