×

সারাদেশ

শিকলে বাঁধা বৃদ্ধার দায়িত্ব নিলেন হাতীবান্ধার ইউএনও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ১২:৩৪ পিএম

শিকলে বাঁধা বৃদ্ধার দায়িত্ব নিলেন হাতীবান্ধার ইউএনও

শিকল পরা বৃদ্ধ জহুরুলের দায়িত্ব নিলেন হাতীবান্ধার ইউএনও। ছবি: ভোরের কাগজ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রায় দুই বছর ধরে নিজ গৃহে শিকলবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জহরুল ইসলাম (৭০) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ। এ নিয়ে গণমাধ্যম প্রকাশ হওয়ার পর শিকলে বাঁধা বৃদ্ধ জহরুলের অবস্থা দেখে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন ওই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধের শিকল খুলে দিয়ে চিকিৎসাসহ সব খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ মে) রাত ৯টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংঙ্গীমারী গ্রামের ওই বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে তাকে শিকলবন্দি থেকে মুক্ত করেন। বৃদ্ধ জহরুল ইসলাম হাতীবান্ধা উপজেলার সিংঙ্গীমারী ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ৪ বছর আগে জহুরুলের স্ত্রী শরীফা বেগম প্যারালাইসে আক্রান্ত হয়ে ১ হাত ১ পা অচল হয়ে যায়। টাকার অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয় সে। অর্থ কষ্ট আর দুচিন্তায় জহুরুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। বাবা-মায়ের এমন পরিস্থিতি দেখে ছোট ছেলে শহিদুল ইসলাম শত কষ্টের পরেও বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেয়। এ অবস্থায় কয়েকবার নিখোঁজ হয় বৃদ্ধ জহরুল। আর তাই প্রতিদিন বাড়ির উঠানে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় ওই বৃদ্ধকে।

বৃদ্ধের ছেলে শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু ইউএনও স্যার বাবার চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবেন। আমরা এই ঋণ কোনোদিন ভুলব না। বৃদ্ধ জহরুল ইসলামের স্ত্রী শরীফা বেগম বলেন, ইউএনও সাহেবের আল্লাহ্ তার মঙ্গল করবেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন,গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ দেখে লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক ডিসি স্যার আমাকে অবগত করেন। ওই বৃদ্ধকে শিকলবন্দি থেকে মুক্ত করা হয়েছে। তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা ও পরিবারের সব দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসন বহন করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App