সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের মঙ্গলপুর গ্রামের বিল থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ৬ টুকরো ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। মঙ্গলবার (৪ মে) র‌্যাব সদস্যরা দিরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে তাদের। এরপর গভীর রাতে দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আটককৃতদের।

আটককৃতরা হলেন, ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী আল বাহার বেগম (৩৫), ভাঙ্গাডহর গ্রামের মৃত জলধর দাসের সত্যরঞ্জন দাস (৫৫), নরোত্তমপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫), দাউদপুর গ্রামের মৃত তোয়াহিত মিয়ার ছেলের নাজমুল হুসাইন (৪৯), নরোত্তমপুর গ্রামের মুসলিম উল্লাহ’র ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫) ও ভাঙ্গাডহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আ. মালেক (৩০)।

র‌্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ৬ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আটককৃত দাউদপুর গ্রামের মৃত তোয়াহিত মিয়ার ছেলের নাজমুল হুসাইন এর ভাই কবির মিয়া ও দুদু মিয়ার সংগে  আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জের এবং দুদু কর্তৃক কবিরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অপমানিত হওয়ার জেরে কবির মিয়া সহযোগীদের নিয়ে দুদুকে হত্যা করে। পরে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে বিলে ফেলে দেয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহদের আটক করা হলেও মূলহোতা আটক নাজমুলের ভাই কবির মিয়া ও তার সহযোগী ভাঙ্গাডহর গ্রামের দোলন মিয়া পলাতক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল রাতে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের বিলের একটি ডোবা থেকে মাথাবিহীন ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে লাশের ক্ষত বিক্ষত মাথা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় জানা যায়নি। তবে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছিলেন টুকরো টুকরো লাশ মঙ্গলপুর গ্রামের নিখোঁজ দুদু মিয়ার।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, গত ১ মে বিল থেকে ৬ টুকরো অজ্ঞাতনামা লাশটি নিখোঁজ দুদু মিয়ার হতে পারে বলে সন্তানদের দাবি। তবে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে র‌্যাব ৬ জনকে আটক করে মঙ্গলবার (৪ মে) গভীর রাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাদের বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।