চীনে উইঘুর মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য বেইজিং অলিম্পিক গেমস বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করার মাধ্যমে তাদের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।

বুধবার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে উইঘুরদের সাংস্কৃতিক উৎসব ডোপা দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান দলটির নেতারা।

সভায় বক্তারা উইঘুরদের বিষয়ে চীনের সঙ্গে শক্তভাবে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আমরা চীনের দূতাবাস ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

চীনা পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম বলেন, চীন সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ প্রায় ২১ লাখ উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে জোরপূর্বক আটকে রেখে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্যাতন যৌন নিপীড়ন হত্যাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চীনের এমন গর্হিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

[caption id="attachment_282537" align="aligncenter" width="687"] চীনে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন।[/caption]

তিনি বলেন, মুসলিমবিশ্ব আজ চুপ করে আছে, মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম নেতৃস্থানীয় দেশগুলো যদি চীনের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে তাহলে চীন হত্যা, ধর্ষণ নির্যাতন বন্ধ করতে বাধ্য হবে। আমরা চাই মুসলিমবিশ্ব জেগে উঠুক এবং জনগণ তাদের সরকারগুলোকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করুক। তাহলে চীনের টনক নড়বে। কিন্তু আমরা যা দেখছি তা হলো, মুসলিম শাসকগণ টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তারা চীনের কাছ থেকে ঋণ ও অনুদান ইত্যাদির জন্য ব্যস্ত হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে সত্য কথাটা বলারও সাহস হারিয়ে ফেলছে।

যার যার অবস্থান থেকে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে নির্যাতনকারী চীন সরকারকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব আজম খান বলেন, চীনে মুসলিম নির্যাতন হত্যা ধর্ষণসহ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে। আমরা দেশে দেশে আওয়াজপূর্ব চীনা পণ্য বর্জন করব এবং চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত করার মাধ্যমে চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা হারিসুল হক, ইসলামী মুভমেন্টের যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দীন, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ হোসাইন আজম প্রমুখ।