করোনা সংকটে ১৫ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছে যুবলীগ। ৫ এপ্রিল থেকে এ কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। শতাধিক চিকিৎসক নিয়ে গঠন করা হয় টেলিমেডিসিন টিম। এ টিমের প্রধান সমন্বয়ক যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী। মঙ্গলবার (৫ মে) যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এছাড়া সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. ফরিদ রায়হান, উপস্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল, সহ সম্পাদক ডা. মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রাফি, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. আওরঙ্গজেব আরু, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. মো. রায়হান সরকার রিজভী।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যুবলীগের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এই টিম গঠন করা হয়। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে টেলিমেডিসিন টিম দিবারাত্রি নিরলসভাবে কাজ করে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে টেলিফোনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। গভীর রাতেও অসহায় অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে টিম।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, এই দুর্যোগ ও মহামারির সময় যদি আমরা মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারি, আর কখন দাঁড়াবো? এই অনুভূতি বা চেতনাবোধ থেকেই যুবলীগের চিকিৎসকরা দিনরাত মানুষকে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। যুবলীগের কমিটিতে ১০ বা ১৫ জন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার আছেন। তাদের নেতৃত্বেই টেলিমেডিসিন সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। মানবসেবা করা এই টিমের মূল লক্ষ্য। গত বছরও স্বাস্থ্যসেবা আমরা দিয়েছি। এবছর পনের হাজার মানুষকে টেলিমেডিসিন সেবা দিতে পেরেছি। বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পেরে আমাদের চিকিৎসকরা খুবই অনুপ্রাণিত, গর্বিত।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে লকডাউনে থাকা অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে ঘরে বসেই মানুষ চিকিৎসা সেবা পায়। জনগণ কিছুটা উপকার পেলেই আমরা সার্থক। টেলিমেডিসিন টিমের চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, সব ধরণের করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসার পাশাপাশি প্রসূতি মা ও শিশু, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতা, বন্ধাত্ব, দাঁতের সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও এই সেবা পেয়েছে।