বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচে আবাহনীর পাঁচজন এই ৫ গোল করেন। বিজয়ী দলের গোলদাতারা হলেন- সানডে চিজোবা, জুয়েল রানা, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, রুবেল মিয়া ও কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট। অন্যদিকে ব্রাদার্সের হয়ে দুটি গোলই আসে আওয়ালা মাগালানের পা থেকে। ব্রাদার্সকে প্রথম লেগের ম্যাচেও হারিয়েছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। সেবার তারা জয় পেয়েছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে।

এদিকে এবার আবাহনী ১৪ ম্যাচ শেষে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আর ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস।

দ্বিতীয় লেগের প্রথম ম্যাচে আবাহনী বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে। ফলে আজ ব্রাদার্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য মরিয়া ছিল তারা। তাই প্রথম থেকেই তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে । ম্যাচের অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। সতীর্থের ক্রসে চিজোবার হেড ফেরান গোলরক্ষক জাফর সরদার। জটলার ভেতর থেকে জুয়েলের ফিরতি শট বাধা পায়। ১৭ মিনিটের সময় রায়হানের ক্রসে সানডের হেডও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

চাপ ধরে রেখে ২২তম মিনিটে গোল তুলে নেয় আবাহনী। রায়হানের লম্বা থ্রো ইনে বেলফোর্ট হেড করার পর গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে। এরপর ৩৪তম মিনিটে চিজোবার সাইড ভলি বাইরের জাল কাঁপায়। ৬ মিনিট পর আবার রায়হানের থ্রো ইনে সাইঘানির হেড পাসের পর নাসিরউদ্দিনও হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকের গোলে ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নেয় আবাহনী। ৪৪তম মিনিটে কর্নারে বেলফোর্টের হেড জাফর ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলতো টোকায় অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা জুয়েল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারাবাহিকতা আবাহনী ধরে রাখলেও এ সময়ে দুটি গোল হজম করে তারা। কিন্তু এতে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।