×

চিত্র বিচিত্র

 ৭০ হাজার কঙ্কালের গির্জা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২১, ১১:৫৩ এএম

 ৭০ হাজার কঙ্কালের গির্জা!

৭০ হাজার কঙ্কাল দিয়ে তৈরি চেকপ্রজাতন্ত্রের খুলির গির্জা। ছবি: কলকাতা নিউজ

চেক প্রজাতন্ত্রের এই শহরটি ছোট্ট হলেও বেশ ছিমছাম আর সাজানো-গোছানো রয়েছে। সেখানে অবস্থিত খুলির গির্জা। এই গির্জা বেশ বিখ্যাত। কিন্তু ঢুকলেই গা শিরশির করবে। কারণ এর মধ্যেই থরে থরে সাজানো রয়েছে বহু মানুষের হাড়।

এই গির্জার ভেতরের দেওয়াল ও বিশালা ছাদ সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের হাড়গোড়। ছাদ থেকে যে বিরাট এক ঝাড়বাতি ঝুলছে সেটাও আবার তৈরি হয়েছে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় দিয়ে। খবর কলকাতা নিউজের।

পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় একটি শহরের নাম কুতনা হোরা। চেক প্রজাতন্ত্রের এই শহরটি ছোট্ট হলেও বেশ ছিমছাম আর সাজানো-গোছানো রয়েছে।

তবে সেখানে পর্যটকরা যান বিখ্যাত সেডলেক ওসারি বা কঙ্কালের গির্জা দেখতেও। জানা গেছে যে প্রায় ৪০ থেকে ৭০ হাজার মানুষের হাড়গোড় দিয়ে বানানো হয়েছে এই গির্জার ভেতরের অনেক প্রকারের জিনিসপত্র।

প্রতি বছর অন্তত চার লাখ পর্যটক এই বিশেষ রোমাঞ্চকর গির্জা দেখতে শহরটি যান। সেখানকার বিরাট ঝাড়বাতি তৈরি করতে নাকি মানুষের শরীরের ২০৬ ধরণের হাড় সংগ্রহ ও ব্যবহার করা হয়েছে।

বলা হয় যে এখন যে জায়গায় গির্জা বানানো হয়েছে অতীতে সেখানে ছিলো ছোট একটি কবরস্থান। এক পাদ্রী জেরুজালেম থেকে কিছু মাটি সংগ্রহ করে আনেন এবং ওই কবরস্থানে ছড়িয়ে দেন।

১২০০ সালের দিকে এমনটা হয়। এরপর ওই এলাকার মানুষ পূণ্যলাভের আশায় মৃত্যুর পরে সেখানে সমাহিত হওয়ার প্রার্থনা করেন। ধীরে ধীরে একটি পবিত্র সমাধিক্ষেত্র হয়ে ওঠে।

১৪০০ সালের দিকে ইউরোপে ‘ব্ল্যাক ডেথ’-এর কারণে যাদের যাদের মৃত্যু হয় তাদের অনেককেই কুতনা হোরার ওই কবরস্থানে সমাধি দেওয়া হয়। পরে সমাধিক্ষেত্রটিতে নতুন করে কাউকে সমাহিত করার মতো জায়গা না থাকায় একটি গির্জা নির্মাণ করে সমাহিত করা হতো মৃতদের।

সেই গির্জাকে অস্থি সংরক্ষণাগার হিসেবে বানানো হয়। এরপর ১৫০০ সালের দিকে মাথার খুলি ও হাড় গির্জায় সজ্জিত করে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয় এক খ্রিস্টান মঠকে। মৃতদের অসম্মান যাতে জানানো না হয় তাই ছবি তুলতে গেলেও অনুমতি নিতে হয় এখানে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App