×

জাতীয়

বিটকয়েনে কপাল খুললেও শেষ রক্ষা হলোনা সুমনের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২১, ০৮:১৩ পিএম

বিটকয়েনে কপাল খুললেও শেষ রক্ষা হলোনা সুমনের

র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া সুমনসহ বেশ কয়েকজন। ছবি: র‌্যাব মিডি সেন্টার

* কয়েক বছরের ব্যবধানে অঢেল সম্পদের মালিক * ৩২ কর্মচারীর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টাই কার্যক্রম চলতো * বিটকয়েনের মাধ্যমে ১২-১৫ লাখ ডলার লেনদেন

ইসমাইন হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন। মাষ্টার্স পাশ করে ২০১৩ সালে শুরু করেন বিটকয়েন ব্যবসা। শুরুতে একটি ছোট অফিস দিয়ে শুরু করলেও আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপ ব্যবসাসহ অঢেল সম্পদের পাশাপাশি রাজধানীর বাড্ডায় ৩টি বিশাল অফিস গড়ে তুলেছেন। সেখানে ৩২ জন কর্মচারী ২৪ ঘন্টাই দায়িত্ব পালন করতেন বিটকয়েন প্রতারণার। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু মাত্র বিটকয়েনেই লেনদেন করা হয়েছে ১২-১৫ লাখ ডলার। মূলহোতা সুমনসহ এ চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

সোমবার (৩ মে) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য তুলে ধরেন। এরআগে রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উত্তর বাড্ডা এলাকায় বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে সুমনসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা টিম ও র‌্যাব-১ এর একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা অন্যরা হলো- আবুল বাশার রুবেল, রাকিবুল ইসলাম, আরমান পিয়াস, মেহেদী হাসান, রায়হান আলম সিদ্দিকি, জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, রাকিবুল হাসান, সোলাইমান ইসলাম, জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৯টি ডেক্সটপ কম্পিউটার, ৩টি ল্যাপটপ ও ১৬টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেসিক বিজ মাকের্টিং নামক অনলাইন আউট সোর্সিং ব্যবসার আড়ালে অবৈধ বিট কয়েন ও অনলাইন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছে চক্রটি। এই ব্যবসার মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন। ২০১৩ সালে একটি ছোট অফিস দিয়ে শুরু করলেও এখন বাড্ডায় ৩টি ফোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো সে। প্রতিষ্ঠানটি ৩টি শিফটে ২৪ ঘন্টা খোলা থাকতো। এই ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক বনে গেছে সুমন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছে, ঢাকায় তার ২টি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা গেছে, তার একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট রয়েছে। যেখানে বিট কয়েনের মাধ্যমে অর্জিত লক্ষাধিক ডলার মজুদ রয়েছে। সে আরো জানিয়েছে, গত বছরে সে বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২-১৫ লক্ষ ডলার লেনদেন করেছে। পাশাপাশি সে বিভিন্ন দেশি-বিদেশী ই-মার্কেটিং সাইটে আর্কষণীয় মূলে বিজ্ঞাপন দিতো। পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতো। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ী, জুয়ারীদের কাছে বিট কয়েন বিক্রি করতো। সে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির সঙ্গেও জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেপ্তার অপর ১১ জনও সুমনের প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ বিট কয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও সহযোগী। তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App