সালথায় তান্ডব: ফরিদপুরে পুলিশ হেফাজতে এক আসামির মৃত্যু
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২১, ১০:৩৮ পিএম
ফরিদপুরের সালথায় গত ৫ই এপ্রিল রাতে গুজব ছড়িয়ে তান্ডবের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার আসামী আবুল হোসেন আলী(৪৫) নামের এক ব্যক্তি ডিবি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। আবুল হোসেন সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালীয়া গ্রামের মৃত হাজী ইমান উদ্দীন মোল্যার ছেলে। আবুল হোসেনের ২ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, সালথায় তান্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশের করা একটি মামলায় আবুল হোসেন আলীকে গত ১৬ এপ্রিল সালথা থানা পুলিশ (মামলা নং-০৩, জিআর/৩২/২০২১) আটক করে এবং গত ২৮ এপ্রিল তাকে পুলিশ রিমান্ডে আনা হয়। শনিবার (১লা মে ) তিনি সাহরি খেয়ে নামাজ পড়ে বাথরুম গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বমি করেন। তাকে অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।
তিনি আরও বলেন এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশাকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আবুল হোসেন আলীর বড় ছেলে একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তার (১৮) বলেন, আমার বাবা কোন অপরাধ করেনি। আমার বাবারে রিমান্ডে নিয়া মাইরা ফেলান হইছে। আমার বাবা নিরিহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি কোন দল-পক্ষে থাকেন না। তিনি গরুর খামার নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ গনেশ আগরওয়াল জানান, রোগীর গায়ে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন বা অন্য কোন অস্বাভাবিকতা দেখা যায় নি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্টোকজনীত কারনে স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে।
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার বলেন, আবুল হোসেনের রিমান্ড চলছিল। সকালে তিনি সেহরি করেছেন। শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে তিনি শৌচাগারে যান। অনেক্ষন কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষী দরজা খুলে দেখেন আবুল হোসেন বমি করে মেঝেতে পরে আছেন। পরে তাকে দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।