×

সারাদেশ

নেত্রকোণায় নৌডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৩:০৮ পিএম

নেত্রকোণায় নৌডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন

নেত্রকোণায় নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারি

নেত্রকোণায় মদনের হাওরে ইঞ্জিন চালিত নৌকাডুবিতে ১৮ জনের প্রাণহানির ঘটনায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সেই নৌকাটির মালিক ও দুই মাঝি গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, নৌকার মালিক উপজেলার মদন ইউনিয়নের কুলিয়াটি গ্রামের নূরুল হকের (পুলিশ মিয়া) ছেলে লাহুত মিয়াকে। আর মাঝি দুইজন হচ্ছেন, উচিৎপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আল আমিন ওরফে শাহাদাদ এবং কুলিয়াটি গ্রামের আলাদ মিয়ার ছেলে কাইরুল ইসলাম। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে হাওরের প্রবেশদ্বার উপজেলার উচিতপুর নৌঘাট থেকে মদন থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ময়মনসিংহ সদর ও গৌরীপুর উপজেলা থেকে ভ্রমণে আসেন মাদ্রাসার ৪৮ জন শিক্ষক শিক্ষার্থী। সেদিন দুপুরে উচিতপুর নৌঘাট থেকে পর্যটকবাহী ভাই ভাই ট্রলার এই ৪৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের রাজালীকান্দায় পৌঁছলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। বাকিরা সাঁতড়ে তীরে উঠে প্রাণ বাঁচান। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

প্রচন্ড বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে ১৮ জনের প্রাণহানির কারণ উল্লেখ করে ১৯ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ।

এ নিয়ে ঢাকার বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নৌ আদালতে মামলা হয়। এতে নৌকার মালিক লাহুত মিয়া ও দুই মাঝিকে আসামি করে নৌপুলিশ। এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, নৌকার মালিক লাহুত মিয়া, মাঝি আল আমিন ও কায়রুলকে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মতে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ নেত্রকোণা আদালতে তাদেরকে সোপর্দ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App