×

সারাদেশ

অনাগত সন্তান রাখা নিয়ে প্রেমিকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১০:৫৬ পিএম

অনাগত সন্তান রাখা নিয়ে প্রেমিকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা

গ্রেপ্তার নাহিদ হাসান। ছবি: ভোরের কাগজ

সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন হলেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক হলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ভিকটিম। এমতাবস্থায় বিয়ে করাসহ অনাগত সন্তান রাখা নিয়ে ঝগড়া হয় দুজনের। এক পর্যায়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে প্রেমিকাকে মেরে ফেলে লাশ ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে যায় ঘাতক প্রেমিক।

দশম শ্রেণির ছাত্রী মোসলেমা খাতুন (১৫) হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনী প্রেমিক মো. নাহিদ হাসানকে (২২) গ্রেপ্তারের বিষয়ে রবিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরের কাগজকে এসব তথ্য জানান মিঠাপুকুর সার্কেল এএসপি কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাংনি ইউনিয়নের বাউরাকোট গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মোসলেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। সে খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল ও স্থানীয় এক হাই স্কুল থেকে এই বছর এসএসসি পরীক্ষা দিত। দুই ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট। তার বাবার ভাষ্যমতে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে মোসলেমা বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায় না। একসময় বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে হঠাৎ গন্ধ ভেসে আসে। গন্ধের সূত্র ধরে ক্ষেতের মাঝখানে গিয়ে স্থানীয়রা মোসলেমার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। পরে মিঠাপুকুর থানায় মামলা হলে তদন্ত শুরু করি আমরা। এক পর্যায়ে লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যেই রাত পৌনে ৩টার দিকে হত্যাকারী মো. নাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই আমরা।

এএসপি কামরুজ্জামান আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ জানায় মোসলেমা তার চাচাতো বোন। তাদের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় ১ বছরের। ভিকটিমের সঙ্গে তার একাধিকবার দৈহিক মিলন হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর নাহিদ দিনাজপুরে চাকরিতে চলে যায়। ঘটনার ১৫ দিন আগে মোসলেমা তাকে জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু নাহিদ তা অস্বীকার করে। এতে তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।

এএসপি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম নাহিদকে ফোন দিয়ে আসতে বলে। কিন্তু সে আসতে চায় না। ভিকটিম বার বার জেদ করলে সে দেখা করতে আসে। তারা ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে দেখা করে ও ভিকটিম তার বাচ্চা রাখতে চায় এবং এর জন্য ব্যবস্থা করতে বলে। কিন্তু নাহিদ তা মানতে নারাজ। সে যে কোনোভাবে বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। এর এক পর্যায়ে নাহিদ রেগে গিয়ে তাকে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে মেরে ফেলে। এরপর সে বাসায় চলে আসে ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতকে রবিবার আদালতে পাঠানো হলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় সে। পরে জেল হাজতে পাঠানো হয় তাকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App