×

সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে বিয়ের চেষ্টা এক নারীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:৫৫ এএম

নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলরকে তুলে নিয়ে বিয়ের চেষ্টা এক নারীর

নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে লোকজন দিয়ে তুলে নিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করেছে সাইদা শিউলি নামের এক নারী। সেই সঙ্গে ওই কাউন্সিলরের স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ওই নারী।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে এই অভিযোগ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা রাষ্ট্রের কাছে তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন।

মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘ওই নারী আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। সে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের ক্ষতি করতে চায়। কারণ, সে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছে কিন্তু আমি তাতে সারা দেয়নি। কয়েকদিন আগে ওই নারী আমার বাড়ির সামনে লোকজন নিয়ে এসেছিল। তাদের সঙ্গে কাজিও ছিল। সে আমাদের হয়রানি করছে। পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে চাইছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ’

তিনি জানান জানান, ‘সাইদা শিউলি নামে ওই নারী ভয়ঙ্কর চরিত্রের। তার সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের চলাফেরা। তিনি একজন ব্যবসায়ী। সাইদা তিনবার বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুই সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। ’

খোরশেদ বলেন, ‌‘আমি করোনার শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়েছি ও সম্মুখে থেকে লডাই করে দাফন সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। তখন অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। তখন একটি সংবাদের নিচে ওই মহিলা কমেন্ট করে জানান যে, তিনি অক্সিজেন দিতে চান এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন এবং কথা বলা শুরু করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন। আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে, এরকম কিছু সম্ভব নয়। কাজ হবে না বুঝে আমি নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন এবং আমার পেছনে উঠেপড়ে লাগেন।’

খোরশেদ আরও বলেন, ‘সম্মানকে ভয় পাই বলেই এতদিন মুখ খুলিনি। আমি ধৈর্য ধরেছি। কারণ, আল্লাহ হয়তো একটি ফয়সালা করবেন। তবে দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে এ সংক্রান্ত নিউজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষয়টি সবার কাছে বলতে এসেছি। বিভিন্ন মানুষকে ব্যবহার করে তিনি আমাদের জ্বালাতন করতেন। এতদিন কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছি না ‘

তিনি আরও বলেন, ‘২১ জানুয়ারির পর থেকে হোয়াটস অ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে, টেলিফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি জানাচ্ছেন ওই মহিলা। আমার পরিবারের সবাইকে মারাত্মক মানষিক অত্যাচার করছেন। সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন। আমি এসব ঘটনায় শুরু থেকেই সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং অবহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।’

খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে হত্যা করবে। আমার সঙ্গে তার সব কথার রেকর্ড আছে। যে কেউ চাইলে আমরা এসব রেকর্ডিং দেব। আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App