নায্য দামে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার আহ্বান বাসদের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম
বোরা ধানের দাম মণপ্রতি ১ হাজর ৫০০ টাকা নির্ধারণ ও প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টন ধান সরকারিভাবে কেনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। শনিবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের হাওর অঞ্চলে ইতিমধ্যেই বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে ৪০% ধান কাটা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকার ধান ক্রয়ের জন্য দাম নির্ধারণ করেনি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবারে বোরো ধানের উৎপাদন খরচ গড়ে ২৬ টাকার উপরে পড়েছে বলে জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছি যে, উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৪০% মূল্য সংযোজন করে ধানের দাম নির্ধারণ করতে হবে। এটা না করলে দেশের কৃষক কৃষি কাজ করে টিকে থাকতে পারবে না। ফলে উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৪০% মূল্য সংযোজন করে ধানের দাম মণ প্রতি ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার গত বছর ধানের দাম ২৬ টাকা কেজি অর্থাৎ ১০৪০ টাকা মণ নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম থাকায় সরকারি গুদামে কৃষক ধান বিক্রি করেনি। তাছাড়া যেহেতু ধান কিনবে কম এবং চাল কিনবে বেশি সরকারের এই ভুল নীতির কারণে চাতাল ও মিল মালিকরাও সরকারি গুদামে নির্ধারিত পরিমাণে চাল সরবরাহ করেনি। ফলে দেশে সরকারি মজুদ গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেছে। আর এর সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজার সিন্ডিকেট কারসাজি করে চালের দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নামিয়ে এনেছে। আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিয়ে ২০ লাখ টন খাদ্য শস্য আমদানির ঘোষণা দিলেও সরকারিভাবে ২ লাখ টন এবং বেসরকারিভাবে ৬ লাখ টন মোট ৮ লাখ টন মাত্র আমদানি হয়েছে। তারপরও বাজারে চালের দাম কমছে না।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, গত বছরের এই সময়ে খাদ্য মজুদ ছিল ১২ লাখ টন, এ বছর তা তলানীতে নেমে এসে ৩ লাখ টনে ঠেকেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কমপক্ষে ১৫ লাখ টন খাদ্য মজুদ থাকা উচিত। না হলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে। মূলত তিনি মধ্য স্বত্বভোগীদের সুবিধা না দিয়ে সরাসরি কৃষককে তার নায্য দাম দেবার আহ্বান জানান।