×

সাময়িকী

জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে তাঁর অনিবার্য উপস্থিতি সাহস জুগিয়েছে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১২:১২ এএম

আবেদ খান শাহরিয়ার ও আমি একই বয়সি। যতদূর মনে হয় একই মাসে আমাদের জন্ম। আমরা পারিবারিকভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমার জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে শাহরিয়ারের অনিবার্য উপস্থিতি আমাকে সাহস জুগিয়েছে। নয় দশকের মাঝামাঝিতে আমি ইত্তেফাকে ৩১ বছরের চাকরিজীবন পরিত্যাগ করে ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিকতার অনিশ্চিত পথে পা বাড়াই। তারপর থেকে আমাদের প্রাত্যহিক বা নিয়মিত যোগাযোগের মাত্রাটি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কিন্তু তাই বলে আমাদের আন্তরিক সংযোগের ঘাটতি ছিল না সামান্যতম। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে শাহরিয়ার আমার প্রণয় এবং পরিণয়ের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আমি শাহরিয়ারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব এ কথা দিয়েছিলাম খালাম্মাকে। বড় স্নেহময়ী নারী ছিলেন তিনি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছি এ কথা বিনীতভাবে স্বীকার করি। সে কেন অকৃতদার রয়েই গেল, আজ আর সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন। আমার বন্ধু শাহরিয়ারের সঙ্গে সম্বোধন কেন জানি না কখনো ‘তুমি’তে নামেনি। কেন নামেনি বা কেন তাতে আমরা কেউ-ই উদ্যাগী হইনি তার উত্তর আমার জানা নেই; সম্ভবত শাহরিয়ারেরও জানা নেই। আর আমরা দুজনের কেউই সম্ভবত মনে করতে পারব না ‘মঁশিয়ে’ সম্বোধনটি কেন এবং কোন কারণে স্থান পেয়েছিল। তবে এখনো দেখা হলেই কিংবা কোনো কথা বললে এটাই প্রথম উচ্চারিত শব্দ হয়ে যায়। ক’দিন আগে আমাকে চমক দিয়ে অত্যন্ত স্বাভাবিক কণ্ঠে শাহরিয়ার বললো, মঁশিয়ে, আমি একটি জটিল রোগে ভুগছি। কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা নিচ্ছি সিঙ্গাপুর গিয়ে। মনে হলো আমার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেল। কী শুনলাম আমি! নিজেকে প্রবোধ দেই, ভালো জায়গায় চিকিৎসা যখন হচ্ছে তখন নিশ্চয়ই সে রোগমুক্ত হবে। অন্তত এটাই আমি বিশ^াস করি। মঁশিয়ে, প্লিজ গেট ওয়েল। উই কান্ট লেট ইউ গো। আমাদের স্মৃতি রোমন্থনে আমাদের বর্ণময় অতীতকে সময়ের গহ্বর থেকে তুলে আনার কাজটি যে করা হলো না বন্ধু!

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App