চৌবাচ্চা ধসে প্রাণ হারালেন শ্বশুর ও পুত্রবধূ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৯ পিএম
ধসে পড়া চৌবাচ্চার পাশে দুর্ঘটনার পর মানুষের ভীড়। ছবি: সংগৃহীত
মাত্র সপ্তাহখানেক আগে বাড়িতে তৈরি করা হয় একটি বড় আকারের চৌবাচ্চা। উদ্দেশ্য গোসল করার পানি ধরে রাখা। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সেখানে প্রথমবারের মতো গোসল করতে গিয়েই ঘটে গেলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। চৌবাচ্চার পাশে বসে গোসলের সময় প্রাচীর ধসে পরিবারের গৃহকর্তা, তার সদ্য শিশুর জন্ম দেওয়া পুত্রবধূ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দুই শিশুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) সপ্তাহখানেক আগে তার বাড়িতে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থ ও উচ্চতা বিশিষ্ট একটি চৌবাচ্চা নির্মাণ করেন। শুক্রবার দুপুরে আব্দুর রহমান তার ছোট ছেলে মামুনের সদ্যপ্রসূত স্ত্রী সাউদা বেগম(২২), ছেলে শাহজাহানের শিশু সন্তান রোহান(৭) ও বড় ছেলে বাশার মিয়ার শিশু সন্তান রাব্বিকে(১৩) নিয়ে গোসল করছিলেন। চৌবাচ্চার পাশেই পানি উত্তোলনের জন্য বসানো হয়েছে একটি পাম্প। দুপুরে প্রথমবারের মতো চৌবাচ্চায় পানি মজুদ করে সেখানেই গোসল করতে যান তারা। এ সময় আচমকা চৌবাচ্চার দেওয়াল তাদের উপর ধসে পড়ে। এতে সকলেই দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন। বাড়ির লোকজন ছুটে এসে চারজনকে উদ্ধার করলেও সাউদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদের দ্রুত নান্দাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার সময় পথে মারা যান আব্দুর ররহমান। দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত সাউদা বেগম শবেবরাত রাতে সাদিয়া নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নিম্নমানের কাজের কারণে চৌবাচ্চাটি ধসে পড়েছে।
এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হবে।