×

জাতীয়

শাপলাচত্বর কান্ড: হেফাজতের শীর্ষ পাঁচ নেতা রিমান্ডে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৩৩ পিএম

হেফাজতের শীর্ষ পাঁচ নেতাকে ৫ দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর কান্ডের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার আসামিদের পৃথকভাবে আদালতে হাজির করে সংশ্লিষ্ট থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের ইবাদত-বন্দেগী করার পর্যাপ্ত সুবিধা দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হেফাজতের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমেনী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি এবং খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আল্লামা খুরশিদ আলম কাসেমী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শরাফত হোসাইন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা যোবায়ের ও সদস্য সানাউল্লাহ।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন ও মতিঝিল থানায় ওই সময় হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলামের আরো ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার আসামিকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজি নাসিরুল ইসলাম সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল বুধবার মতিঝিল থানার আরেক মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় গত ৭ এপ্রিল ভোর রাতে তাকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল গাছা থানায় এবং ১১ এপ্রিল জিএমপির বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App