প্রবাসীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মডেল স্বর্ণা রিমান্ডে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৫:০৩ পিএম
রোমানা ইসলাম স্বর্ণা।
সৌদি প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী ও মডেল রোমানা ইসলাম স্বর্ণার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর মো. দুলাল হোসেন আসামিকে হাজির করেন। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রোমানার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ১১ মার্চ অভিনেত্রী স্বর্ণাসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম। মামলার পরদিন স্বর্ণা, তার মা শেইলী, ছেলে আন্নাফিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বাদী কামরুল উল্লেখ করেন, তিনি স্বর্ণার বাসায় কয়েকদিন অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সৌদি আরবে চলে যান। সৌদি আরবে যাওয়ার পর প্রথম দিকে স্বর্ণা বাদীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তিনি তাকে নিয়মিত সাংসারিক খরচ দিতেন। চার-পাঁচ মাস পর বাদী কামরুল সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, স্বর্ণা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে এবং দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে বাদী স্বর্ণার পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারাও তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। স্বর্ণার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে ফ্ল্যাট ও গাড়ি বুঝিয়ে দিতে বললে সেসব নেই বলে বাদীকে জানান।
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন কামরুল। মামলার পর স্বর্ণা টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্ল্যাট ও গাড়ি ফেরত দিতে চাইলে মামলাটি প্রত্যাহার করে সৌদি আরব ফিরে যান কামরুল।
চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব থেকে কামরুল বাংলাদেশে এসে ফোন করলে লালমাটিয়ার বাসায় যেতে নিষেধ করেন স্বর্ণা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ফোন করলে স্বর্ণা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। মোহাম্মদপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ও ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ওই বাসায় যান। বাসার সিকিউরিটি জানায়, রাত আনুমানিক ২টা ৪০ মিনিটে স্বর্ণা বাসায় ফিরেছে। পরে পুলিশ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেন।