×

জাতীয়

ত্রাণ সহায়তা দরিদ্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান শ্রমিক ফ্রন্টের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০৬:১০ পিএম

ত্রাণ সহায়তা দরিদ্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান শ্রমিক ফ্রন্টের

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত করোনায় কর্মহীন শ্রমিকদের খাদ্য ও নগদ সহায়তা যেন লোক দেখানো না হয়, প্রকৃত দরিদ্র, কর্মহীন মানুষের কাছে এসব সহায়তা যেন পৌঁছায় সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। সোমবার (১৯ এপ্রিল) শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে সরকার ১ কোটি ২৫ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষকে খাদ্য সহায়তা এবং ৩৬ লক্ষ মানুষকে নগদ সহায়তা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বরাদ্দকৃত সহায়তা যেন লোক দেখানো না হয়,  করোনায় কর্মহীন  হয়ে অভাবগ্রস্ত প্রকৃত শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষের হাতে   যেন সহায়তা পৌঁছায় এমন দাবি জানিয়েছে শ্রমিক ফ্রন্ট।

ফ্রন্টের নেতারা বলেন, সহায়তা বন্টনের গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, সরকার ৫০ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়ার   ঘোষণা দিয়েও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নামে দলীয় প্রতিনিধিদের  স্বজনপ্রীতি আর সংশ্লিষ্ট আমলাদের দায়িত্বহীনতার কারণে তা সুষ্ঠু  বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাদের দেয়া তালিকায় কয়েকশত নামের পাশে একই মোবাইল নম্বর দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক আয়ের উপর টিকে থাকা গণ-পরিবহন, চালক-শ্রমিক, পর্যটন শ্রমিক, রাইডার, হালকা যানবাহন চালক, নির্মাণশ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান চালক, হকার, পাদুকা শ্রমিক, দিনমজুর, দোকন-কর্মচারি,  গৃহশ্রমিক যারা   লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে জীবনযাপন করেছে। কিন্তু গতবার তাদের সবার হাতে সরকারের সহায়তা পৌঁছায়নি।

শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি হারানো, অভাবগ্রস্ত শ্রমিকদের তালিকা দাখিল করলেও সেই তালিকার শ্রমিকদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। স্থানীয় জন-প্রতিনিধির পাশাপাশি ক্রিয়াশীল শ্রমিক সংগঠনসমূহের কাছ থেকেও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষের নাম সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করা এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

এসময় নেতারা বলেন, গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিয়ে বরাদ্দ বন্টনে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে তা প্রকৃত অভাবগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষদের   টিকিয়ে রাখতে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি  হবে।

নেতারা প্রকৃত  শ্রমজীবী মানুষের হাতে সহায়তা পৌঁছানোর কাজে ক্রিয়াশীল শ্রমিক  সংগঠন সমূহকেকে সম্পৃক্ত  করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দকৃত সহায়তার পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। সেই সহয়তাও যদি দূর্নীতি-স্বজনপ্রীতির কারণে প্রকৃত অভাবগ্রস্ত মানুষের হাতে না পৌঁছায়, তা শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বঞ্চনা আর যন্ত্রণা তৈরি করবে। ভয় দেখিয়ে বঞ্চনা আর ক্ষুধার জ্বালার সেই ক্ষোভকে দমন করতে পারবেন না, তা বিস্ফোরক হিসেবে ফুটে বের হবে বলে নেতারা হুঁশিয়ারি দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App