×

পুরনো খবর

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আইডি কার্ড সঙ্গে রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪৯ এএম

চিকিৎসক ও স্বস্থ্যকর্মীদের আইডি কার্ড সঙ্গে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) এ নির্দেশ জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রবিবার লকডাউনে এক নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে পরিচয়পত্র চাইলে তিনি পুলিশের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে তমুল আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর পরই এমন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, ক্ষমতার দম্ভ, পেশার দম্ভে কিভাবে আইন কানাগলিতে পথ হারায়, এরই একটি বাস্তব নমুনা দেখা গেল। ক্ষমতা ও পেশার দম্ভে কেমন করে অনেকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় তারই প্রমাণ এই ভিডিও।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির গাড়ি থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তুই-তুকারি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্টেট ও পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাইতে বলেন। ক্ষমা না চাইলে ১শ’ ডাক্তার নিয়ে আন্দোলন করানোর হুমকি দেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন ওই নারী। হুমকি দেন চাকরি কেড়ে নেওয়ার। ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশকে উদ্দেশ করে ওই নারী বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’

এসময় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’

এরপরে নিজের গাড়িতে ওঠেন ওই নারী চিকিৎসক। তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন?’ এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ কর্মকর্তা জবাবে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন?’

‘আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’- এই কথা বলে এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে নিজের ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য ওই নারী। তারপরও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App