×

জাতীয়

সঠিক নীতি সহায়তা অটোমোবাইল শিল্পকে উন্নত করবে: ডিসিসিআই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৪:১৮ পিএম

সঠিক নীতি সহায়তা অটোমোবাইল শিল্পকে উন্নত করবে: ডিসিসিআই

অটোমোবাইল শিল্পে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিল্পমন্ত্রণালয় ১০ বছর মেয়াদী ‘বাংলাদেশ অটোমোবাইল সেক্টর রোডম্যাপ ২০২১-২২’ এবং ‘অটোমোবাইল-ম্যানুফেকচারিং ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ এর খসড়া প্রস্তুুত করেছে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্তকরণ করা একান্ত অপরিহার্য।

রবিবার (১৮ এপি্রল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়ন : বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ইউনিটের প্রধান জন ডি. ডানহাম, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুজ্জামান, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান, বারভিডার প্রেসিডেন্ট আব্দুল হক, সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও জাইকা প্রতিনিধি হায়াকাহ ইউকো ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফাদ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি উক্ত সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ বলেন, করোনা মহামারি ধাক্কা বাংলাদেশ অর্থনীতিতে লাগলেও গত বছরে জিডিপি ৫.২৪ শতাংশে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, দেশে লকডাউনের মধ্যেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় শিল্প কলকারখানা চালু রাখছি। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যেমাত্রায় পৌঁছানোর এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে সর্বাক্ষণিক শিল্প কারখানার চালু রাখার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার এবং আশা করি, সামনের দিনগুলোতে আয় আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান আয় জনগণের নিরাপদ যানবাহন হিসেবে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। মানুষের এখন ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয় করার সমর্থন বেড়েছে। অটোমোবাইল নির্মাতারা স্থানীয় উৎপাদনের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আগ্রহও বেড়েছে। এসব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা খুব তাড়াতাড়িই অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ণ নীতিমালা চূড়ান্ত করবো। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহে অটোমোবাইল শিল্পখাতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসার জন্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি বলেন, অনেক দেশের শিল্পায়নে অটোমোবাইল খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বিশেষকরে জাপানে এখাত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অটোমোবাইল শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং বাংলাদেশের সেই উদাহরণ অনুসরণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অটোমোবইল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে হালকা প্রকৌশল শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালায় অভাব, সহায়ক শুল্ক কাঠামো না থাকা, স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত কাঁচামালের যোগান না থাকা, দক্ষ মানবসম্পদ ও বেকওয়ার্ড লিংকেজ খাতের অনুপস্থিতির কারণে আমাদের অটোমোবাইল শিল্পে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App