×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে নববর্ষের দিন জান্তার গুলিতে ৩ বিক্ষোভকারী নিহত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০১:৩৮ পিএম

মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের প্রথম দিনে সামরিক জান্তার গুলিতে কমপক্ষে তিনজন বিক্ষেভকারী মারা যায় এবং চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এলাকার বাসিন্দারা জানায়, এদিন ১১টায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেসামরিক লোকদের উপর গুলি চালাচ্ছিল। এসময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এদিন বিকেল পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের শব্দ শোনা যায়। পরে জান্তা বাহিনী টাউনশিপ হাসপাতাল থেকে কিছু লাশ এবং আহতদের কয়েকজনকে নিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য এখনো জানা যায়নি।

মিয়ানমারের সামিরক জান্তা সারা দেশজুড়ে ২৩ হাজার ১৮৪ বন্দিকে নববর্ষ উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি দেওয়া হয় বলে দেশটির কারা বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন।

মুক্তি পাওয়া এসব বন্দির মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী কেউ থাকলেও তাদের সংখ্যা খুব কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের প্রথম দিন ছিল শনিবার ছিল পাঁচ দিনের সাধারণ ছুটির শেষ দিন। এই ছুটির সময় দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক সাধারণত বৌদ্ধ মন্দিরগুলো পরিদর্শন করে এবং রাস্তায় পরস্পরের দিকে জল ছুড়ে ও বিভিন্ন উন্মুক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পার করে।

কিন্তু এ বছর গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা এসব আনন্দ অনুষ্ঠান বাতিল করে তার বদলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে মনোযোগ দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

আন্দোলনকারী গোষ্ঠী অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অং সান সু চিসহ তিন হাজার ১৪১ জনকে অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিয়ানামারের কারা বিভাগের মুখপাত্র কাইয়াও তুন ওও টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, এসব বন্দিদের (মুক্তি পাওয়া) অধিকাংশই ১ ফেব্রুয়ারির আগের কিন্তু এরপর আটক হওয়া কিছু বন্দিও আছেন।

মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কারণে আটক হওয়া কেউ আছেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মুক্তি পাওয়াদের বিস্তারিত তথ্য তার কাছে নেই।

সামরিক বাহিনী হাজারো বন্দিকে মুক্তি দিলেও প্রতিবাদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা ৮৩২ জনকে এখনও খুঁজছে বলে জানিয়েছে এএপিপি। এদের মধ্যে ইন্টারনেট সেলিব্রিটি ছাড়াও বেশ কয়েকজন অভিনেতা, গায়ক ও জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব আছেন।

রাজনৈতিক কয়েদিদের সহায়তা সংস্থা অনুযায়ী, রুবি শহরটি শাসনবিরোধী বিক্ষোভ সক্রিয় রয়েছে এবং ২৭ মার্চ এবং আজ জান্তা বাহিনীর দ্বারা কমপক্ষে পাঁচ জনকে হত্যা করেছে। শনিবার পর্যন্ত এই প্রতিবাদে প্রশাসনের ক্র্যাকডাউন সম্পর্কিত দেশব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ৭৩০ এরও বেশি। শুক্রবার রাত থেকে ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে এএপিপি ২৮ জন নিহত রেকর্ড করেছিল।

গত শুক্রবার, তরুণরা রাস্তার পৃষ্ঠে একটি মুরাল তৈরি করছিল: ‘ওয়েলকাম-কেআইএ,’ ‘আমাদের সহায়তা দরকার,’ ‘মিয়ানমারকে বাঁচান,’ এবং ‘সিডিএম (নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলনে যোগ দিন)’ এই জাতীয় বক্তব্য প্রকাশ করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App