×

জাতীয়

লকডাউনে ডাক্তার, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার বাহাস, ভিডিও ভাইরাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৫৬ পিএম

লকডাউনে ডাক্তার, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার বাহাস, ভিডিও ভাইরাল

রবিবার পুলিশ-চিকিৎসক বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়

রাজধানীতে চলমান লকডাউনে পরিচয়পত্র চাওয়ায় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এক নারী চিকিৎসক। তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন তিনি।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) ওই নারীর আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, ক্ষমতার দম্ভ, পেশার দম্ভে কিভাবে আইন কানাগলিতে পথ হারায়, এরই একটি বাস্তব নমুনা দেখা গেল। ক্ষমতা ও পেশার দম্ভে কেমন করে অনেকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় তারই প্রমাণ এই বিভিও।

ভিডিওতে নমনীয় থাকতে দেখা যায় ম্যাজিস্টেট ও পুলিশ সদস্যদের। তারা ওই নারীকে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি ফের উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘ওকে সরি বলতে বল, নয় আমি দেখে নেব, ডাক্তার বড়, না পুলিশ বড়।’

দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির গাড়ি থামিয়ে পরিচয়পত্র দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তুই-তুকারি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্টেট ও পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাইতে বলেন। ক্ষমা না চাইলে ১শ’ ডাক্তার নিয়ে আন্দোলন করানোর হুমকি দেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন ওই নারী। হুমকি দেন চাকরি কেড়ে নেওয়ার। ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশকে উদ্দেশ করে ওই নারী বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’

এসময় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’

এরপরে নিজের গাড়িতে ওঠেন ওই নারী চিকিৎসক। তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন?’ এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ কর্মকর্তা জবাবে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন?’

‘আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’- এই কথা বলে এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে নিজের ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য ওই নারী। তারপরও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App