×

আন্তর্জাতিক

ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত দুই লাখের বেশি, শ্মশান ও কবরে লাইন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০১:১৫ পিএম

ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত দুই লাখের বেশি, শ্মশান ও কবরে লাইন

ফাইল ছবি

ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত দুই লাখের বেশি, শ্মশান ও কবরে লাইন

ভারতে করোনা ভাইরাসে মৃতদের লাশ বক্স বন্দি করেই দাফন করা হচ্ছে। ফাইল ছবি

ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত দুই লাখের বেশি, শ্মশান ও কবরে লাইন

করোনায় মৃতদের দাফনের জন্য লাশ নিয়ে অপেক্ষা। ছবি: ডয়েছে ভেলে

ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত। ফলে কবরস্থান ও শ্মশানে বাড়ছে লাশের লাইন। একটি লাশ দাফন ও সৎকারের আগেই আরেকটি লাশ নিয়ে অপেক্ষা করছে সেচ্ছাসেবীকর্মীরা। অপেক্ষা করতে হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা।

মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায়, সৎকার নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ছত্তীসগঢ়, দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে মর্গের বাইরে করোনায় মৃতের দেহের স্তুপ দেখা মিলেছে। শ্মশানে গণচিতার ভাইরাল ছবি-ভিডিও বুঝিয়ে দিচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি।

[caption id="attachment_278808" align="aligncenter" width="960"] ভারতে করোনা ভাইরাসে মৃতদের লাশ বক্স বন্দি করেই দাফন করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স[/caption]

ভারতে গত তিনদিন ধরেই প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ দু’লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। এছাড়া মারা গেছে ১ হাজার ৩৪১ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭২৯ জন। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। একই রেকর্ড শনিবার হয়েছে দিল্লিতেও।

ভারতে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৭৩ জন। দেশটিতে করোনায় শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন রোগী রয়েছে ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪০ জন। ফলে হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাব দেখা যাচ্ছে।

[caption id="attachment_278809" align="aligncenter" width="700"] করোনায় মৃতদের দাফনের জন্য লাশ নিয়ে অপেক্ষা। ছবি: ডয়েছে ভেলে[/caption]

মার্চের মাঝামাঝি সময়েও দেশে দৈনিক মৃত্যু হচ্ছিল ১০০ থেকে ২০০-র মধ্যে। এপ্রিলের প্রথম দু’দিনও তা ছিল ৫০০-র কম। শনিবার সেই সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশটির উত্তরপ্রদেশে, দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা, পঞ্জাব রাজ্যেগুলিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, করোনার প্রথম পর্বেও তা হয়নি। এই সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা করছে বিভিন্ন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সে জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে জারি করা হয়েছে ‘করোনা কার্ফু’। এছাড়া রাত্রিকালীন কার্ফুও জারি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক এলাকায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App