×

জাতীয়

প্রথমবারের মতো রমজানের বাজার তদারকিতে সচিব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৩:২৭ পিএম

প্রথমবারের মতো রমজানের বাজার তদারকিতে সচিব

ফাইল ছবি

এবার প্রথমবারের মতো বাজার তদারকি অভিযানে সরাসরি নেমেছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফরউদ্দিন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে রমজানের ছয় নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটাই তদারকিতে নেমেছেন বাণিজ্য সচিব।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজার থেকে তিনি বাজার তদারকি কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারেও বাণিজ্য সচিবের অভিযান চালানোর কথা রয়েছে। এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করতো।

শনিবার অভিযানের শুরুতে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার কারণ হচ্ছে- পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে বেঁধে দেয়া ৪০ টাকার পরিবর্তে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন প্রতিকেজি ৪৫ টাকায়। প্রতিকেজিতে বাড়তি ৫ টাকা অবৈধ মুনাফার দায়ে তিনি জরিমানার মুখে পড়েন।

সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না তার তদারকির দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোর। রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগে থেকেই ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ঢাকায় ২৮টি মনিটরিং দল কাজ করছে। কোনো ব্যবসায়ী অসদুপায় বা অন্য কোনো অজুহাতে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও আগাম দেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায়ও রমজান আসার আগেই দফায় দফায় বাড়ছিল নিত্যপণ্যের দাম। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ১১ এপ্রিল তেল চিনি ডালসহ ৬টি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা এবং চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। এছাড়া সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রমজানে ছোলার চাহিদা ৮০ হাজার টন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে এক লাখ টনেরও বেশি। পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ২৬ লাখ টন,। এরমধ্যে রমজানে চাহিদা ৩ লাখ টন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ টনেরও বেশি। ভোজ্যতেলের (সয়াবিন) বছরে চাহিদা ২০ লাখ টন, এরমধ্যে রমজানে চাহিদা ২ লাখ টন।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ লাখ টন। মসুর ডালের বছরে চাহিদা ৫ লাখ টন, এর মধ্যে রমজানে চাহিদা ৮০ হাজার টন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১ দশমিক ৮৩ লাখ টন। চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৮ লাখ টন, এর মধ্যে রমজানে চাহিদা ১ দশমিক ৩৬ লাখ টন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১৩ দশমিক ২৩ লাখ টন। বছরে খেজুরের চাহিদা ৬০ থেকে ৭২ হাজার টন, এর মধ্যে রমজানে চাহিদা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন। এ বছর জুলাই-মার্চে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬২ হাজার টন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App