রমজানের প্রথম জুমা মহামারী থেকে মুক্তি কামনা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৪:২৭ পিএম
বাইতুল মোকাররাম মসজিদ। ফাইল ছবি
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমার নামাজ শেষে গুনাহমুক্ত জীবন ও মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনা করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের প্রায় সব মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়।
বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমি নামাজ পূর্ব খুতবার বয়ানে মাহে রমজানের হক আদায় করে রোজা রাখার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত জীবনযাপন করার জন্য মুসল্লিদের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়ে করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রোজা রেখে ইফতারের পূর্বে দোয়া করার আহ্বান জানান।
পবিত্র হাদিসের উদ্বৃতি দিয়ে মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমি বলেন, মাহে রমজানে হক আদায় করে আমাদের রোজা রাখতে হবে। রোজার হক হচ্ছে গুনাহমুক্ত জীবনযাপন করা। কিন্তু রোজা রাখছেন গুনাহ করছেন, সুদ খাচ্ছেন এই রোজা কোনো কাজে আসবে না। পরকালে ঢাল হবে না, বরং তা জাহান্নামে নিয়ে যাবে। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, রোজা হচ্ছে ঢাল স্বরুপ। এই রোজা পরকালে বান্দাহকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন। একমাত্র রোজার প্রতিদান আল্লাহপাক স্বয়ং নিজ হাতে দিবেন। তাই রোজার রেখে মিথ্যা পরিহার করতে হবে, গুনাহমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেতে মুসল্লিদের তওবা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারি সারা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। কখন এই মহামারি থেকে মুক্তি পাবো কেউ জানে না। বিপদমুক্ত হতে হলে বিশুদ্ধ নিয়তে আমাদের তওবা করতে হবে। আর রোজা রেখে তওবা করতে পারলে আল্লাহ আমাদের তওবা কবুল করবেন। বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এদিকে, কঠোর লকডাউনের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতে পারেননি মুসল্লিরা। ফলে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা গেছে।
জুমার নামাজে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক ফাঁকা ছিল মুসল্লিদের চলাফেরা ও অবস্থান। মূল চত্বর ছাড়া বারান্দা সিঁড়ি-প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থানে খালি ছিল। অন্যান্য জুমার ন্যায় মাকেট চত্বর বা আশেপাশে কাতার করতে হয়নি মুসল্লিদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভেতরে একটির পর একটি কাতার ছেড়ে মুসল্লিরা বসেছেন। এছাড়া বেশিরভাগ কাতারেই দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি আগত মুসল্লিদের বেশির ভাগ অংশকেই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে দেখা গেছে। হাতে ছিল জায়নামাজও। তবে, বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ আদায় হলেও রাজধানীর পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে ছিল উল্টো চিত্র। পাড়া-মহল্লার এসব মসজিদে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তোয়াক্কাই ছিল না।