×

জাতীয়

ছুটির দিনের লকডাউনে সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:২১ পিএম

ছুটির দিনের লকডাউনে সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কম

রাজধানীর বনানী-কাকলী রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট। ছবি: শাহাদাৎ হাওলাদার

সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন চলছে। তৃতীয় দিনে রাজধানীজুড়েই রিকশার দখলদারিত্ব। লোকজনও চলাচল করছে। তবে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।

রাজধানীর প্রবেশ ও বাহির হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টে আজ ছুটির দিনেও লোকজনের ভিড় ছিল। গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল, বাবুবাজার এলাকায় সকাল থেকেই লোকজনের ভিড় দেখা গেছে। সকালে মাতুয়াইল বাস স্ট্যান্ডের সামনে অনেকেই যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এখানের সব রাস্তাতেই ব্যাপক সংখ্যক রিকশা চলাচল করছে। যাত্রাবাড়ী থেকে পোস্তগোলা, পোস্তগোলা থেকে বাংলাবাজার শ্যামবাজার হয়ে সোয়ারীঘাট- বাদামতলী পর্যন্ত সব সড়কগুলোতে অবাধে রিক্সা চলছে। এছাড়া রাজধানীর সব এলাকাতেই ব্যাপক সংখ্যক রিকশা চলাচল করায় সড়ক ছিল রিকশার দখলে।

বৃহস্পতিবার সড়কে প্রাইভেট কারের ব্যাপক আধিক্য থাকলেও শুক্রবার খুবই অল্প সংখ্যক প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেখা গেছে। অফিস না থাকায় এবং পুলিশের কড়া অবস্থানের কারণে লোকজন প্রাইভেটকার নিয়ে রাস্তায় বের হননি।

পুলিশ সার্জেন্ট সুলতান জানান, শুক্রবার এমনিতেই ছুটির দিন তার ওপরে আবার লকডাউন চলছে। এ কারণেই আজ কম সংখ্যক প্রাইভেটকার চলাচল করছে। শনিবার ও রবিবার এই দৃশ্য নাও থাকতে পারে। তবে সব সড়কেই পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ভ্যান, বিভিন্ন ধরনের ট্রাক স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

আজ সড়কে অবস্থান নেওয়া পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আরও কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হওয়ার কারণে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, রামপুরা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ রিক্সা আটকের পর রাস্তার উপর উল্টে রাখে। দুই তিন ঘন্টা পরে আবার রাস্তায় নামাজ পড়তে ছেড়ে দেয়া হয়। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার থামিয়ে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। যারা মুভমেন্ট পাস দেখাতে পারেননি তাদেরকে সতর্ক করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা যাত্রী ও পথচারীদের দাঁড় করিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে।

আজ নগরীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থার ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখা যায়নি। ছুটির দিন এবং রাস্তায় মানুষ যানবাহনের চাপ কম থাকায় মোবাইল কোর্ট তাদের কার্যক্রম চালায়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে বিনা প্রয়োজনে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মাত্র তিনটি ফেরি চলাচল করছে। অন্য ফেরিগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পণ্যবাহী ও জরুরী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যানবাহন পারাপারে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং যাত্রী পারাপারের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তারপরেও যাত্রী ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ফেরিঘাটে স্বাভাবিক সময় ২০টি ফেরি চলাচল করে। লোকজন ও প্রাইভেট কারের চাপের কারণে ফেরির সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App