×

মুক্তচিন্তা

ঐতিহাসিক ধাপ অতিক্রম করে বাংলাদেশ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৮ এএম

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ধর্মের নামে ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা’র অংশীদার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ধর্মীয় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বর্তমানের বাংলাদেশ। নাম হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জি (২০১৬) তার একটি বইতে বিষয়টি তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘উন্নয়নের অভাব, অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মর্জিমাফিক খেলাফ শাসক পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিদ্রোহের পথে নিয়ে গেল [পূর্ব বাঙালিদের]। আর এই বিপ্লবের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে উঠে এলেন মুজিবুর রহমান। কেউ যদি এই সময়ে তার ঘটনাবহুল জীবন পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে তিনি দেখতে পাবেন কীভাবে মুজিবুর রহমান নিজেকে ও নিজের অনুগামীদের সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।’ এভাবে আলোচনা করার এক পর্যায়ে প্রয়াত প্রণব মুখার্জি ১৯৫৫ সালের ২৫ আগস্ট পাকিস্তান গণপরিষদে বঙ্গবন্ধুর দেয়া বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। যেখানে বঙ্গবন্ধু স্পিকারকে সম্বোধন করে বলছেন, “জনাব, আপনি লক্ষ্য করবেন এরা ‘পূর্ব বাংলা’র জায়গায় ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দটি ব্যবহার করছেন। আমরা আপনাদের কাছে দাবি জানিয়েছি ‘পাকিস্তানে’র পরিবর্তে ‘বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করা উচিত। ‘বাংলা’ শব্দটির ইতিহাস আছে, নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। তাকে আপনি একমাত্র জনগণের সঙ্গে আলোচনা করবার পরেই বদলাতে পারেন। আপনারা যদি এই পরিবর্তন ঘটান তাহলে আমাদের বাংলার মানুষের কাছে ফিরে গিয়ে জেনে নিতে হবে তাঁরা এই বদল মেনে নিতে প্রস্তুত কি-না। এখনো পর্যন্ত একটি অংশের দাবি হিসেবে যা রয়েছে সংবিধানেও তা আসতেই পারে। কেনই বা আপনারা শুধু এইটুকু বিষয়কেই এখন তুলে ধরতে চাইছেন? রাষ্ট্রভাষা বাংলার কী হবে? যৌথ নির্বাচকমণ্ডলীর কী হবে? স্বশাসনের কী হবে? পূর্ব বাংলার জনগণ এসব প্রশ্নের মিলিত উত্তরের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। তাই আমি আমার বিরোধী পক্ষের বন্ধুদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যাতে তারা জনগণকে তাদের রায় জানাতে দেন। একমাত্র গণভোটের ভেতর দিয়েই তা ঘটতে পারে (পৃ.৩৪-৩৫)।” বঙ্গবন্ধু সেদিন বাংলার স্বতন্ত্র ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা বলেছিলেন। এর বিপরীতে সরাসরি না হলেও বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যটি পরীক্ষা করলে ‘পাকিস্তানের কোনো ইতিহাস ঐতিহ্য না থাকার’ বিষয়টি সহজেই এখানে উপলব্ধি করা যায়। পাকিস্তানের পরমাণু পদার্থবিদ পারভেজ হুদভয় যেমনটি ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি করাচির আদাব উৎসবে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘একটি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল’ (Pakistan was born in a state of confusion). বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালিদের স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না, তাই বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বান। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ মুক্তিকামী বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরু, ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা, এরপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার। ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বাত্মকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর এপ্রিলের ১০ তারিখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। এপ্রিলের ১৭ তারিখ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলেন। অতএব প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিল মাস এলেই (পূর্ব) বাংলার জনগণের ওপর পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমণ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির কথা মনে পড়ে যায়। ১৯৭০-এর নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতি এ দেশের মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন ব্যক্ত হওয়া, সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান কর্তৃক জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, পূর্ব বাংলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও নির্বিচারে বাঙালি হত্যা প্রভৃতি ঘটনার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু প্রথমে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি সরকারি বাঙালি সরকারি কর্মচারীদের বেতন নিয়ে আসা, অফিসে না যাওয়ার কথা বলে প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে (পূর্ব) বাঙালিরা যখন ১৯৭১-এর ২ মার্চ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছিল তখন থেকেই বাঙালি সরকারি কর্মকর্তা বিশেষত যারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অফিস করতেন তারা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং অফিসে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। অন্যান্য অনেকের মতো আমার জন্মদাতা পিতাও সে সময় বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রথমে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন পরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠিত হওয়ার পর সেই সরকারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এরপর ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু পুনরায় স্বাধীনতা ঘোষণা এবং দেশ শত্রুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হয়ে বিহারি সম্প্রদায়ের মানুষ এবং মুসলিম লীগ ও জামাত-ই ইসলামের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল, জগন্নাথ হল এবং শিক্ষকদের কোয়ার্টারে শিক্ষক-ছাত্র-কর্মচারী, রাজারবাগ পুলিশ ফাঁড়ি, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও আওয়ামী লীগারদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় কঠিন শব্দসহ একটি রেজুলিশন গ্রহণ করেন। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাস করা এই রেজুলিশনে ‘পূর্ব বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে গভীর ক্লেষ এবং গুরুতর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয় এবং এই রেজুলিশনে অভিযোগ করা হয় যে ‘পূর্ব বাংলার সব জনগণের আবেদন ও আকাক্সক্ষা অবদমনের উদ্দেশ্যে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রেরিত সশস্ত্র বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে আক্রমণ চালাচ্ছে’। এদিকে ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদ ৩০ মার্চ, ১৯৭১ সন্ধ্যায় পশ্চিম বঙ্গ সীমান্তে গিয়ে পৌঁছান। তিনি অতি সত্বর ভারতীয় অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন, কলকাতা যান এবং পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যান। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমদ প্রমুখ কলকাতা পৌঁছেছিলেন। ৬ এপ্রিল নতুন দিল্লিস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনার কে এম শাহাবুদ্দীন এবং আমজাদুল হক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। ১৮ এপ্রিল কলকাতাস্থ পাকিস্তানের একজন বাঙালি ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। ভারতের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো এই ঘোষণার কথা প্রচার করে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সামরিক জান্তার কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় থাকার কারণে, অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গ ছিলেন, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম; প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ; এ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী; ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী। পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় চার জাতীয় নেতা হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী খোন্দকার মোশতাক পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এই মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কর্নেল এম এ জি ওসমানীকে কমান্ডার ইন চিফ এবং কর্নেল আব্দুর রবকে চিফ অব আর্মি স্টাফ নিযুক্ত করা হয়। ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টায় বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের একটি চৌকস দল মাহবুবউদ্দিন আহমদ, বীর বিক্রমের নেতৃত্বে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল সে সময়ের মহকুমা বর্তমান চুয়াডাঙ্গা জেলায়। কিন্তু পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গোলক মজুমদার এবং সে সময়ে মেহেরপুরের মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে বৈদ্যনাথতলায় শপথ গ্রহণের মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। সব স্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এপ্রিলের ১৬ তারিখ রাতারাতি বৈদ্যনাথতলায় শপথ গ্রহণ মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছিল। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্যান্য নেতা ১৭ এপ্রিল সকাল ৯টায় শপথ গ্রহণের স্থানে এসে উপস্থিত হন। এই অনুষ্ঠানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। স্থানীয় শিল্পীরা স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ পরিবেশন করেন। ১০০-এর বেশি স্থানীয় ও বিদেশি সাংবাদিক ও মুক্তিকামী কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাজউদ্দীন আহমদ ৩০ মিনিটের একটি বক্তৃতা প্রদান করেন এবং বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করেন। তিনি তার ভাষণে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি এবং নতুন সরকারকে সামরিক সহযোগিতা করার জন্য বিশ^ সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। আম্রকানন শোভিত ছোট্ট গ্রাম বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের খবর মুক্তিকামী লাখ লাখ জনতা বেতার মারফত জানতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সৈয়দ তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মন্সুর আলী, কামরুজ্জামান প্রমুখ মহান নেতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেই সরকারের শপথ গ্রহণের ঘটনা স্বাধীনতাকামী (পূর্ব) বাঙালিদের গৌরবময় সংগ্রামের প্রতি বিশ^বাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছিল। এমনিতে অতীতের কোনো গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা বর্তমানের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে স্মরণ করার ব্যাপারটি তাৎপর্যপূর্ণ বটে! ১৯৭১ সালের এপ্রিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ (পূর্ব) বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। এই যুদ্ধে ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছিলেন। যাদের মধ্যে আমার অতি প্রিয় কুশল দাদুও আছেন। ২০২১-এর এপ্রিলে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের সেই রক্তঝরা দিনগুলো স্মরণ করার সময় যারা স্বাধীনতার জন্য নিঃশেষে জীবন দান করেছেন, তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ড. অরুণ কুমার গোস্বামী : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App