মহামারি করোনা ভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসা ভারত সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে রাখা হবে। এ জন্য তেঁতুলিয়ার উপজেলা সদরের কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিন সেন্টার হিসেবে নির্বাচন করা হয়। পঞ্চগড় করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বৃহষ্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে কমিটির সদস্যরা তেঁতুলিয়ার উপজেলা সদরের কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কোয়ারেনটিন সেন্টার পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা দেশে প্রবেশ করলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিন বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আগতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিন নিশ্চিত করতে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিন সেন্টার হিসেবে নির্ধারন করা হয়।

এই সেন্টারে ১০টি কক্ষে ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন মনির, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুল হক রয়েল উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভারত বা অন্য কোন দেশের যে সকল নাগরিক বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন, তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে থাকতে হবে। এই কোয়ারেনটিন সেন্টার আপাতত ৫০ শয্যা দিয়ে শুরু করা হবে। প্রয়োজনে এখানেই ১৫০ শয্যার ব্যবস্থা করা হবে।