×

রাজধানী

মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি গণপরিবহনে রূপ নিয়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪২ পিএম

মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি গণপরিবহনে রূপ নিয়েছে

ফাইল ছবি।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীবাসী ঢাকা ছাড়তে জোর চেষ্টা শুরু করেছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটর সাইকেল যোগে লোকজন ঢাকা ছাড়ছে। রাজধানীর গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর ও সাইনবোর্ড কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

কঠোর লকডাউনের ইঙ্গিত পাওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরেই লোকজন বিভিন্নভাবে ঢাকা ছাড়ছে। সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করার সরকারি নির্দেশ থাকলেও কেউ এই নির্দেশনা তোয়াক্কা করছেন না। সকাল থেকেই সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। এখান থেকে সিলেট, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনীর যাত্রীরা ভিড় করেছে। তারা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে গন্তব্যে যাত্রা করছে। মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ জনপ্রতি ৯০০ থেকে ১২'শ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। অনেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেও ঢাকা ছাড়ছেন। আবার অনেকে ভেঙে ভেঙে যাওয়ার জন্য সিএনজি ও মোটরসাইকেলেও যাত্রা করেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভার্সিটি বন্ধ থাকলেও টিউশনির কারণে তিনি এতদিন ঢাকায় ছিলেন। কঠোর লকডাউন হলে টিউশনি করা যাবে না তাই তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। সিএনজি অটো বাইক চলাচল করছে। টাকা বেশি লাগলেও ভেঙে ভেঙে তিনি বাড়িতে যেতে পারবেন।

একই অবস্থা দেখা গেছে আমিন বাজার এলাকায়। আজ সকালের দিকে ও গাবতলী এলাকায় ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় ছিল। লোকজন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের বিভিন্ন গন্তব্যে চলছে। যাত্রীরা পায়ে হেটে আমিন বাজার ব্রিজ পাড় হয়ে যে যেভাবে পারছে যানবাহনে উঠছে। ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মাথাপিছু মোটরসাইকেলে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত অনেকেই পৌঁছে যাচ্ছে। একইভাবে সিএনজি ভাড়া করে অথবা শেয়ার সিএনজিতে ভেঙে ভেঙে লোকজন যাচ্ছেন। গাবতলীতে ট্রাফিক পুলিশ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের লোকজনকে ঝামেলা করায় তারা আমিন বাজার ব্রিজ পার হয়ে ওপাশে অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকেই লোকজন গন্তব্যে যাচ্ছে।

আব্দুল্লাহপুর ব্রিজের কাছেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এখানেও ঘরমুখো লোকজনের ভিড় গত কয়েকদিনে তুলনায় আজ বেড়েছে। টঙ্গী বাজারের সামনে থেকেও বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঘরে ফিরতে মানুষের রাস্তা খোলা রয়েছে। টাকা বেশি লাগলেও লকডাউনের মধ্যে কেউ ঢাকায় থাকতে রাজি না। এ কারণেই লোকজন কষ্ট হলেও গ্রামে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এই ঘরে ফিরতে গাবতলী, সাইনবোর্ড আবদুল্লাহপুর এলাকায় জড়ো হতে দেখা গেছে।

আগামীকাল অফিস ছুটির পর ঘরমুখো মানুষের চাপ এসব স্থানে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ১৪ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন থাকলেও এর মেয়াদ চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App