×

জাতীয়

১২ ও ১৩ এপ্রিল কেমন থাকবে দেশ?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২১, ১২:২৭ এএম

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল দেশ। প্রায় প্রতিদিনই ভেঙে পড়ছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে আতঙ্ক। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৭ জন মারা গেছেন। চলছে সাতদিনের শিথিল ‘লকডাউন’। যা রোববার (১১ এপ্রিল) দিন শেষের সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে। শুরুতে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দূরপাল্লার বাস আর পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া এখন সবই খোলা। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’ শুরুর ঘোষণা আসে। এ অবস্থায় মাঝের দুদিন অর্থাৎ ১২ ও ১৩ এপ্রিল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি যখন রোজই খারাপ হচ্ছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, এ দুদিন কী লকডাউন চলবে না চলবে না? এই দুইদিন কি সব স্বাভাবিক চলবে, নাকি বর্তমান অবস্থার ঢিমে তালের লকডাউন বজায় থাকবে? অবশ্য উত্তর নেই কারো কাছেই।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, দু্ই লকডাউনের মাঝের দুইদিন তাই স্বাভাবিক রাখার কোনো যুক্তি নেই। অন্তত বর্তমান অবস্থার মতো রাখতে হবে। অন্যথায় হাজারো মানুষ ছুটবে গ্রামের দিকে, দ্বিগুণের বেশি ভিড় বাড়বে শহর আর শপিংমলে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মাঝের দুদিন কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকালের (১১ এপ্রিল) মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান অবস্থার মতোই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা বলা হতে পারে।

এদিকে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় মতামত এসেছে, অন্তত দুই সপ্তাহ যাতে পূর্ণ লকডাউন দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংক্রমণপ্রবণ ৬টি জেলায় সেটা জোরালো করার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণপ্রবণ এলাকাতে কঠোর লকডাউন দেওয়া প্রয়োজন, প্রয়োজনে কারফিউ জারি করে সংক্রমণটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

বিআইডিএসের সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ৭ দিন করে দিলে আবার বাদ দিয়ে আবার ৭ দিন- এভাবে করে করোনার ঝুঁকি কমানো যাবে না। একসঙ্গে দিলে হয়তো ঝুঁকিটা কমানো যেত। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে অধিক সংক্রমণ প্রবণ ৬ জেলায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App