×

আন্তর্জাতিক

‘দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনে’ অকার্যকর ফাইজারের করোনা টিকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৪:১৪ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার ধরন কিছুটা হলেও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার কার্যকরিতা নষ্ট করে ফেলে। ইসরায়েলের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্সের।

দেশটিতে আফ্রিকান ধরনের বিস্তার এখনও খুবই সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া গবেষণাটি অন্য বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই বা পিয়ার রিভউও করা হয়নি।

শনিবার (১০ এপ্রিল) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, টিকার একটি বা দুটি ডোজ নেওয়ার পর ১৪ বা তার বেশি দিন অতিবাহিত হওয়া ৪০০ করোনা রোগীর সঙ্গে টিকা নেননি এমন সমসংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্যের তুলনা করা হয়েছে। তুলনার সময় বয়স, জেন্ডার ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যও মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসরায়েলের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্ল্যালিত এ গবেষণাটি করেছে। এ ক্ষেত্রে যেসব করোনা রোগীর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশের দেহে করোনার আফ্রিকান ধরনটি পাওয়া যায়।

দেখা গেছে, যে রোগীরা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন তাদের মধ্যে ধরনটির বিস্তারের হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ; অথচ যারা টিকাই নেননি তাদের মধ্যে এই হার প্রায় ৮ গুণ কম, মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ, টিকা নেননি এমন মানুষদের সঙ্গে তুলনায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এমন মানুষদের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনটির সংক্রমণের হার বেশি। সহজেই বোঝা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি কিছুটা হলেও ফাইজারের টিকার প্রতিরোধ ভেঙে ফেলতে পারে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইজারের টিকা যে করোনাভাইরাসের আদি রূপ ও যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ধরনের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর, এই ফল সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েলে করোনার অন্য সব ধরনের চেয়ে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ধরনের দাপটই সবচেয়ে বেশি।

গবেষকরা অবশ্য এই ফলকে এখনি বিবেচনায় নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন। কারণ, ইসরায়েলে তুলনামূলক বিরল হওয়ায় গবেষণায় আফ্রিকান ধরনটিতে আক্রান্ত খুব অল্প মানুষই পাওয়া গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App