বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপ ছাড়া জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে যেন সম্স্যা অনুভব হয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হল এই হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু কোন কারণে শখের স্মার্টফোনটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে কত সমস্যাই না হয়! সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলতে হয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও। আবার নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। শুধু তাই নয়, আপনার সেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি চলে যেতে পারে অন্য কারও হাতে। সেটি অন্য কেউ ব্যবহারও করতে পারেন।

কিন্তু পুরনো নম্বরটি হারিয়ে ফেললেও সেই নম্বর দিয়েও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা সম্ভব। সত্যিই তাই। সহজ কয়েকটি পদ্ধতি মনে রাখলেই এমন পরিস্থিতিতে কোন সমস্যা হবে না। পুরনো নম্বরটিই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকি ইউজারদের নতুন করে নম্বর জানানোর দরকারও পড়েনা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পুরনো নম্বরেই হোয়াটসঅ্যাপ করা যায়। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

১. মোবাইল চুরি হয়ে গেলে প্রথমেই নেটওয়ার্ক পরিষেবা কোম্পানিকে জানিয়ে ফোনটির সিম কার্ডটি লক করুন। সিমটি লক হয়ে গেলেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আর অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

২. এরপর একটি নতুন সিম স্মার্টফোনে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ করুন। তাহলে পুরনো নম্বর দিয়েই অ্যাকাউন্টটি অন করা যাবে।

৩. তবে অ্যাকাউন্টটি খোলার আগে পুরনো অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করতে হবে। এর জন্য কোম্পানিকে একটি ই-মেল পাঠাতে হবে। যেখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, আপনার মোবাইলটি চুরি হয়ে গিয়েছে। যে নম্বরে অ্যাকাউন্ট ছিল সেই নম্বরটির আন্তর্জাতিক কোড-সহ লিখতে হবে। যেমন বাংরাদেশের নম্বর হলে +৮৮ এবং তারপর নিজের নম্বরের বাকি সংখ্যাগুলো লিখুন।

৪. ডিঅ্যাকটিভেট হওয়ার ৩০দিন পর আপনার প্রোফাইল ও মেসেজ অন্যরা দেখতে পারবেন। নম্বরটি পুনরায় অ্যাকটিভ হয়ে গেলে আপনার জমে থাকা মেসেজও নতুন ফোনে চলে আসবে। কিন্তু ৩০দিনের মধ্যে পুরনো নম্বরটি অ্যাকটিভ না করলে সেসব সম্পূর্ণ মুছে যাবে।