×

জাতীয়

তিন মাস বাড়তি সময় পেলেন মেয়াদোত্তীর্ণ ইউপি চেয়ারম্যানরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২৯ পিএম

পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও করোনা মহামারির কারণে যেসব ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না, সেসব ইউপির চেয়ারম্যানদের আরো তিন মাস স্বপদে থেকে ইউপি পরিচালনার জন্য সময় দিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ। করোনা মহামারি বেড়ে যাবার কারণে প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপিতে ভোট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গত বৃহষ্পতিবার ইসির এমন চিঠি পাওয়ার পরে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত ভোট করতে না পারার চিঠি পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা পাঠিয়েছি। এ ক্ষেত্রে যেসব ইউপির মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, সেসব ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান, মেম্বাররা সর্বোচ্চ নব্বই দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার সচিবকে এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা পাঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। সেকারণে মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউপিতে একজন চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার সর্বোচ্চ নব্বই দিন চেয়ারে থাকতে পারবেন। তবে তার আগেই নির্বাচন হয়ে গেলে কমে যাবে বাড়তি দায়িত্বের সময়।

তিনি বলেন, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি হওয়ার কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে আগামী ১১ এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য ১ম ধাপে ১৯টি জেলার ৬৪টি উপজেলার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন; সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এর শূন্য পদে উপনির্বাচন এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের ১১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের শূন্য সদস্য পদে নির্বাচন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

তবে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, খুব একটা সময় নাও পেতে পারেন তারা। যদি করোনা পরিস্থিতি এক মাস পরেই স্বাভাবিক হয়ে আসে, তখন তো নির্বাচন হয়ে যাবে। তাই আইন অনুযায়ী, সময়টা তারা বেশি পাচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলে সে সুযোগ নাও থাকতে পারে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন স্থগিতের এমন বিষয় সামনে এলে সিটি করপোরেশনে আমরা প্রশাসক নিয়োগ করে থাকি। কিন্তু ইউপিতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরই দায়িত্ব দেওয়ার কথা আইনে বলা আছে। ইউপি আইন অনুযায়ী, কোনো পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে ৫ বছর সময়ের জন্য ওই পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App