দোকানপাট ও শপিংমল খুলেছে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩০ এএম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
মৌচাকের ফরচুন শপিংমল। ছবি: ভোরের কাগজ
ঢাকার মার্কেট গুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা কম দেখা যাচ্ছে গুলিস্তান রেলওয়ে সুপার মার্কেট।
দেশে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় শপিং মল ও দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। এর আগে শহরে অর্ধেক গণপরিবহন চালু করা হয়। দূরপাল্লার যান চলাচল ছাড়া সবকিছুই খোলার অনুমতি পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে জারি হওয়া মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় আজ থেকে দেশের সব জায়গায় দোকানপাট, শপিং মল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই সুযোগ দিয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
[caption id="attachment_277118" align="aligncenter" width="700"] ফরচুন শপিং মল, মৌচাক মার্কেট খুললেও ক্রেতার অভাব। ছবি: মাসুদ পারভেজ আনিস।[/caption]মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় শাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি পালন করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আদেশে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, এরপর কী হবে সেই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে আগামী রবিবার। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদসচিব উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক ডেকেছেন। ওই বৈঠকে হওয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা ওই দিন বা পরদিন সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
[caption id="attachment_277153" align="alignnone" width="700"] ঢাকার মার্কেট গুলো খোলা থাকলেও ক্রেতা কম দেখা যাচ্ছে গুলিস্তান রেলওয়ে সুপার মার্কেট।[/caption]করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। ওই নির্দেশনায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কার্যত ওই নির্দেশনায় পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খোলা রেখে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক যানবাহন চলার শর্তে বাকি সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। অফিস-আদালত খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করার পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি খাতের কর্মজীবীদের অফিসে যেতে একদিকে যেমন হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়েছে, অন্যদিকে বেশি ভাড়াও গুনতে হয়েছে। তাই গত বুধবার থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহনসেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।