×

জাতীয়

পর্যটন শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতি বন্ধের দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৪ পিএম

পর্যটন শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুতি বন্ধের দাবি

ফাইল ছবি

করোনাকালীন লকডাউনে পর্যটন শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতি বন্ধ, বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং কর্মহীন শ্রমিকদের খাদ্য ও নগদ সহায়তা দেবার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ফেডারেশনের আহবায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ এবং সদস্য সচিব আহসান হাবিব বুলবুল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তারা বলেন, সরকার গত বছর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও ৪ মাসের অধিককাল পর্যটন কেন্দ্র সমূহ চালু করার অনুমতি দেয়নি। সেই সময় এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক তাৎক্ষণিকভাবে বেকার হয়ে গিয়েছিল। পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকার সময়ে হোটেল-মোটেল-রেষ্ট হাউজ-রেঁস্তোরার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি।

এমন কী করোনার অজুহাতে ৮-১০ বছর ধরে কর্মরত শ্রমিকদের কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে চাকুরিচ্যুত করেছেন। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো কর্মহীন হয়ে যাওয়া এই শ্রমিকদের চাকুরি রক্ষা কিংবা সহায়তা দিতে কোনো ভুমিকা রাখেনি। যে সময়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় চিকিৎসা, পরিচ্ছন্নতা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী নিশ্চিত করা জরুরি। সেই সময় পর্যটন খাতে কর্মরত ৪০ লাখ শ্রমিক এবং তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ চরম অনিশ্চয়তা এবং অসহায়ত্বের মধ্যে ঋণ করে দিনযাপন করতে হয়েছে।

নেতারা বলেন, ২০২০ সালের ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় সরকার এপ্রিলের শুরু থেকে পুনরায় পর্যটন কেন্দ্রসমূহ বন্ধ এবং ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোরভাবে লকডাউন পালনের ঘোষণা দিয়েছে। পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত মালিকরা আগের বছরের মতোই সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরিচ্যুত বা বিনা মজুরিতে বাধ্যতামুলক ছুটিতে পাঠাচ্ছে। যা পর্যটন শ্রমিকদের সপরিবারে প্রায় অর্ধাহার-অনাহারের অমানবিক জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

নেতারা লকডাউনের সময় অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত না করে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানানোর পাশাপাশি কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ সহায়তা দেবার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App