জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হো‌সেন পাঠান ফারুক আর নেই বলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার ছেলে জানালেন, চিত্রনায়ক ফারুকের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গুজব না ছড়ানোর অনুরোধও জানান তিনি।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে টানা আঠারো দিন ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন নায়ক ফারুক। গত ২১ মার্চ অচেতন অবস্থায় ফারুককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এতদিন অসাড় অবস্থায় থাকলেও বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে মাঝে মাঝে সাড়া দিচ্ছেন মিয়াভাই-খ্যাত ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিভাবক। স্বস্তির খবরটি এ দিন দুপুরেই জানিয়েছিলেন তার ছেলে রোশান হোসেন পাঠান।

তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‌‘গতকাল (৭ এপ্রিল) থেকে উনার শারীরিক অবস্থা একটু ভালো। আমরা ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন, হাত নাড়ার চেষ্টা করছেন। এটাই আমাদের জন্য অনেক স্বস্তির বিষয়।’

নিয়‌মিত চেকআ‌পের জন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যান ফারুক। চেকআপের মধ্যেই তার রক্তে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে ডাক্তার লি’র অধীনে চিকিৎসা চলছে এ অভিনেতার।

এর আগে, ১৫ মার্চ খিচুনি হওয়ার পর ফারুকের মস্তিষ্কে একটি সিজার করা হয়েছিল। তারপর তার নড়াচড়া এবং কথা বলা সীমিত হয়ে পড়েছিল। এরপর আইসিইউতে পাঠানো হয়। ১৮ মার্চ অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে পাঠানো হয়।

২১ মার্চ অচেতন হয়ে পড়লে আবারও আইসিইউতে পাঠানো হয় এ অভিনেতা ও সংসদ সদস্যকে। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন ফারুক। সবশেষ তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নিয়মিত চেকআপের জন্য স্ত্রীসহ ৪ মার্চ সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই নায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা-মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৪৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক হয়েছিলে তার। এ অভিনেতা ঢাকা-১৭ আসনের বর্তমান নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

 ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন একসময়ের এই জনপ্রিয় অভিনেতা।